ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম ইউটিউবে আপত্তিকর কমেন্টকারীদের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নেবে প্রতিষ্ঠানটি। কুরুচিকর মন্তব্য করলেই সতর্কবার্তা…
ইউএসবি ও ব্লুটুথ স্পিকারের সুবিধা-অসুবিধা ও পার্থক্য
নিউজ ডেস্ক:
গান শোনার ক্ষেত্রে ইয়ারফোনের ব্যবহার হলেও যারা গানের গভীরে হারিয়ে যেতে চান, তাদের কাছে স্পিকারের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। পারিপার্শ্বিক শব্দকে কাটাতে স্পিকারে কিছুটা উঁচু ভলিউমে কেউ রবীন্দ্র সংগীত, কেউবা নজরুল সংগীত শোনেন। আবার আধুনিক ঘরানায় ব্যান্ড মিউজিকের হেভি মেটালও কারো কারো পছন্দের শীর্ষে। গেম খেলায় অনেকে হেডফোনের তুলনায় স্পিকারকেই প্রাধান্য দেন।
কারো মতে, গেমের শব্দ শোনার সঙ্গে গেমের ঘটনায় নিমজ্জিত হওয়া যায়। নানা মুনির নানা মত। স্পিকারের ব্যবহার অনেক আগে থেকেই। আগে কেবল কানেক্টেড স্পিকার ছিল। এরপর আসে ইউএসবি ও সর্বশেষ ব্লুটুথ।
বর্তমানে বাজারে ইউএসবি ও ব্লুটুথ স্পিকারই বেশি চলছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে সহজ ও সুবিধাজনক পথই খুঁজছেন। তবে এ ইউএসবি ও ব্লুটুথ স্পিকার নিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে পছন্দ-অপছন্দ রয়েছে। জেনে নিন ইউএসবি ও ব্লুটুথ স্পিকারের সুবিধা-অসুবিধা।
ইউএসবি স্পিকার: ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাসের সংক্ষিপ্ত হচ্ছে ইউএসবি। বর্তমানে বাজারে সব ধরনের ইলেকট্রনিক পণ্যে বিশেষ করে, টেলিভিশন, ল্যাপটপে ইউএসবি পোর্ট ব্যবহার করা হয়। ইউএসবি স্পিকারও সে রকমই একটি উদ্ভাবন।
আগে ৩.৫ মিলিমিটার অডিও জ্যাকের মাধ্যমে স্পিকার সংযোগ করতে হতো। সাউন্ড কার্ডের মাধ্যমে এরপর সেই স্পিকার চলত। কিন্তু ইউএসবি স্পিকার সরাসরি ব্যবহারযোগ্য। কম্পিউটার সহজেই এ ডিভাইসকে রিমুভেবল ডিভাইস হিসেবেই ডিটেক্ট করে।
ব্লুটুথ স্পিকার: আরএফ ওয়েভের মাধ্যমে অডিও সিগন্যাল গ্রহণ করার পর তা ডিকোড করে তারবিহীন ব্লুটুথ স্পিকার। বিগত কয়েক বছরে ব্লুটুথ স্পিকার প্রযুক্তি বাজারের কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করছে। তবে ইউএসবি স্পিকার এবং ব্লুটুথ স্পিকারের শব্দের মানের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
ইউএসবি ও ব্লুটুথ স্পিকারের মধ্যে পার্থক্য
কানেক্টিভিটি বা সংযোগ ব্যবস্থা: অন্যান্য ইউএসবি ডিভাইসের মতোই ইউএসবি স্পিকারও সরাসরি কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্টে সংযোগ করা হয়। সংযোগের পর কম্পিউটার সেই হার্ডওয়্যার ডিটেক্ট করে এবং সেটিকে ব্যবহারের জন্য ইনস্টল করে। অন্যদিকে ব্লুটুথ স্পিকার ওয়্যারলেস সংযোগের অডিও মাধ্যম। তবে এটিকে পরিচালনার জন্য অন্য আরেকটি ওয়্যারলেস সুবিধা সংবলিত ডিভাইসের সঙ্গে যুক্ত করতে হয়।
কার্যক্ষমতা: ইউএসবি স্পিকার সহজেই ব্যবহারযোগ্য। এটি চাইলেই সংযোগ করা যায় আবার খুলে ফেলা যায়। ইউএসবি স্পিকার সরাসরি ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত হয়। এখানে সাউন্ড কার্ডের কোনো প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে ব্লুটুথ স্পিকার রেডিওওয়েভ ব্যবহার করে অন্য ওয়্যারকেস ডিভাইসের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের ভিত্তিতে কাজ করে। এটি কর্ডলেস টেলিফোনের মতো একই তরঙ্গ ব্যবহার করে।
বিদ্যুৎ শক্তির ব্যবহার: ইউএসবি স্পিকার সরাসরি কম্পিউটার বা ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বা শক্তি ব্যবহার করে থাকে। যেখানে ব্লুটুথ স্পিকার ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয়। তবে কম শক্তি ব্যবহার করে এমন স্পিকারও বাজারে রয়েছে।
বহন ক্ষমতা: বাইরে বহন করার দিক থেকে ব্লুটুথ স্পিকার সবার ওপরে। আপনি যদি প্রায়ই বাইরে থাকেন, ঘুরতে পছন্দ করেন, পিকনিকে যান, তবে আপনি সহজেই আপনার ব্লুটুথ স্পিকার বহন করতে পারবেন। সেই সঙ্গে একাধিক ডিভাইসের সঙ্গে ব্লুটুথ স্পিকারের সংযোজন খুব একটা কঠিন কাজ নয়।
This Post Has 0 Comments