অনলাইনে পণ্য কেনা-বেচার দেশীয় প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। শুক্রবার দুদকের জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ইভ্যালি লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মিসেস শামীমা নাসরীন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল গোপনে দেশ ত্যাগের প্রচেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ দেশ ত্যাগ করলে সার্বিক অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যহত হতে পারে মর্মে গতকাল তাদের বিরুদ্ধ বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় সংস্থাটি।

ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সম্প্রতি দুদকের কাছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি সুপারিশ পাঠানো হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সেই চিঠি কমিশনের সভায় উত্থাপনের প্রস্তুতিও নেয় দুদক। পরে গতকাল কমিশনের সিদ্ধান্তে এই বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

এর আগে গত রবিবার (৪ জুলাই) ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ চার সরকারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ইভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্ত করে যে প্রতিবেদন তৈরি করে সেখানে দেখা যায়, ১৪ মার্চে ইভ্যালির মোট সম্পদ ৯১ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার ৮৪৬ টাকা। মোট দায় ৪০৭ কোটি ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৪ টাকা। যেখানে তার একই তারিখে গ্রাহকের কাছে ইভ্যালির দায় ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৫৬০ টাকা এবং মার্চেন্টের কাছে দায় ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৪ টাকা।

অন্যদিকে ওই তারিখ পর্যন্ত ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৫৬০ টাকা এবং মার্চেন্টদের কাছ থেকে ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৪ টাকার মালামাল কেনার পর প্রতিষ্ঠানটির কাছে ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ ১ হাজার ৯১৪ টাকার সম্পদ থাকার কথা থাকলেও, বিভিন্ন হিসাবে প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ দেখাচ্ছে ৬৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৬ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইভ্যালি তাদের বর্তমান যে সম্পদ আছে তাদে তারা মাত্র ১৬.১৪ শতাংশ গ্রাহকের হাতে পণ্য পৌছাতে পারবে। আর বাকি গ্রাহকদের কোনোভাবেই পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব না। এই অবন্থা বাংলাদশে ব্যাংক ধারণা করছে গ্রাহক ও মার্চেন্টের কাছ থেকে নেওয়া ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ ১৮ হাজার ১৭৮ টাকা আত্মসাৎ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

Pearl IT
shahadat.hossen154@gmail.com

Would you like to share your thoughts?

Your email address will not be published. Required fields are marked *