ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম ইউটিউবে আপত্তিকর কমেন্টকারীদের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নেবে প্রতিষ্ঠানটি। কুরুচিকর মন্তব্য করলেই সতর্কবার্তা…
নতুন বাজেট : কতটা বাড়বে স্মার্টফোনের দাম?
নিউজবিডি ডেস্ক:
আমদানিতে কর বাড়ায় স্মার্টফোনের দাম কতটা বাড়বে- এ নিয়ে জিজ্ঞাসা ব্যাপক। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। ২০১৯-২০ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর বাজেটে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করলে সেটা কার্যকর হয় সঙ্গে সঙ্গে। তাই ১৩ জুনের পর থেকে যারাই ফোন আমদানি করছেন, বাড়তি অর্থ দিতে হচ্ছে।
যদিও এখনো কোনো কোম্পানি ফোনের দাম বাড়ায়নি। কারণ, বাজারে যে ফোন এখনো সরবরাহ করা আছে, তা আগের ১০ শতাংশ কর দিয়ে আমদানি করা।
আবার আমদানির পাশাপাশি দেশেও স্মার্টফোন সংযোজন শুরু হয়েছে। তাই স্যামসাং, সিম্ফনি, ওয়ালটন, উইনম্যক্স, টেকনো, ওকে, উইসহ আটটি কোম্পানির ফোনের দরে বর্ধিত শুল্ক হারের প্রভাব পড়বে না। আর দাম বাড়ালে এসব কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আমদানিকারকরা পেরে উঠবে কি না, এ নিয়ে আছে সংশয়।
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) এর তথ্য মতে, দেশে স্মার্টফোনের মোট চাহিদার ৭০ শতাংশেরও বেশি মেটায় আমদানিকৃত স্মার্টফোন। এর মধ্যে আছে আইফোন, হুয়াওয়ে, শাওমি, আসুস, অপো, ভিভো, নোকিয়া, মটোরোলা, ওয়ানপ্লাস, ম্যাক্সিমাস, অনার, ইনফিনিক্স ইত্যাদি।
আর দেশে হ্যান্ডসেট উপাদনকারী এই আটটি প্রতিষ্ঠান স্মার্টফোনের বাজারের ৩০ শতাংশের মতো পূরণ করছে। জনপ্রিয় ব্র্যান্ড স্যামসাং গত বছর থেকে ফোন সংযোজন শুরু করায় তারা আগের চেয়ে কম দামে গ্রাহকদের দিতে পারছে। গ্রাহকও তাদের বাড়ছে। এতে অন্য বড় কোম্পানিগুলোও বিনিয়োগে উৎসাহী হচ্ছে।
তবে শুল্ক বাড়ায় বৈধ পথে আমদানির বদলে অবৈধ পথে মোবাইল ফোন আনা বাড়বে বলেও শঙ্কা আছে। বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বিএমপিআইএর পরিচালক বলেন, আমদানি কর বাড়ার ফলে গ্রে মার্কেট আরও বেড়ে যাবে। এতে হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী, আমদানিকারক এবং সরকার তিনপক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই গ্রে বন্ধ করতে পারলে এটা ভালো (শুল্ক বৃদ্ধি) উদ্যোগ। আর তা না পারলে বড় ধরনের বিপদে পড়তে হবে।
বর্তমানে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড শাওমির মুখপাত্র বলেন, এমআই (শাওমির ব্র্যান্ড) ভক্তদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে সর্বোচ্চ মানের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিয়ে আসার প্রতি আমরা বিশ্বাসী। এই আমদানি কর আরোপ করা হলে বাজারে স্মার্টফোন আমদানির পাশাপাশি অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন ঘটতে পারে। এই ধরনের উচ্চ আমদানি করের ফলে আমাদের পক্ষে অনেস্ট প্রাইসে উন্নত মানের প্রযুক্তি নিয়ে আসা কঠিন হবে এবং এতে গ্রাহকদের বেছে নেওয়ার সুযোগ কমে যাবে।