ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম ইউটিউবে আপত্তিকর কমেন্টকারীদের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নেবে প্রতিষ্ঠানটি। কুরুচিকর মন্তব্য করলেই সতর্কবার্তা…
ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত কথা শুনতে পায় গুগল!
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:
ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত কথা গুগল শুনতে পায় বলে জানিয়েছে বেলজিয়ান পাবলিক ব্রডকাস্টার ‘ভিআরটি’ এক প্রতিবেদন। ডাচ ভাষায় রেকর্ড হওয়া কিছু অডিও প্রকাশ্যে আনার পর এর সত্যতা স্বীকার করেছে গুগল। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স-অ্যাসিস্ট্যান্সে রেকর্ড হওয়া কণ্ঠস্বর শুনতে পায় তারা।
ভিআরটি তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সচেতনভাবে রেকর্ড করা কণ্ঠস্বর শোনে গুগল। কিন্তু তারা এমনও কথাবার্তা শোনে যা কখনও রেকর্ডই করা হয়নি। কিছুক্ষেত্রে এইসব কথাবার্তার মধ্যে খুব সংবেদনশীল তথ্যও থাকে।
গুগলের প্রোডাক্ট ম্যানেজার অফ সার্চ ডেভিড মনসেস, কোম্পানির একটি ব্লগে স্বীকার করেন, তাদের ভাষা বিশেষজ্ঞরা সারা বিশ্বে রেকর্ড করা এই সব কথা শোনেন। ভাষা প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য এটা করা হয় বলে তার দাবি।
গুগলের দাবি, যে সমস্ত অডিও রেকর্ড হয় তার মাত্র ০.২ শতাংশই শোনা হয়। এই অডিও ক্লিপিংগুলি নাকি পরিচয় ছাড়াই রেকর্ড করা হয়। ব্যবহারকারিদের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। ফলে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য গোপন থাকে। সেই সঙ্গে আরও দাবি করা হয়েছে, যে কথাবার্তা রেকর্ড হয় তার পিছনে যে কথা বা শব্দ শোনা যায় সেগুলি ভাষা বিশেষজ্ঞরা শোনেন না।
ভিআরটি দাবি করেছে, স্মার্ট ফোন, গুগল হোমের মতো স্মার্ট হোম স্পিকার বা অন্য কোনও ডিভাইসের মাধ্যমে অনেক সময় ব্যবহারকারীর অজ্ঞাতেই রেকর্ড হয়ে যায় তাদের কথাবার্তা।যারমধ্যে ব্যবহারকারীদের নাম, বাড়ির ঠিকানা, পরিবারে অন্যান্য সদস্যদের নামের মতো ব্যক্তিগত তথ্যও থাকে।
গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট চালু করতে গেলে বলতে হয় “ওকে গুগল”, অথবা বোতাম টিপতে হয়। যদিও সংখ্যায় খুব কম, তাও গুগল স্বীকার করেছে অনেক ক্ষেত্রে “ওকে গুগল” না বলা সত্ত্বেও শব্দ রেকর্ড শুরু হয়ে যায়। গুগলের দাবি, অনেক সময় প্রচুর নয়েজ থাকার ফলেই এটা হয়ে যায়।
এবছরের শুরুর দিকে অ্যামাজনও স্বীকার করে ‘খুব কম পরিমাণ নমুনা’ তারা শোনে।