ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম ইউটিউবে আপত্তিকর কমেন্টকারীদের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নেবে প্রতিষ্ঠানটি। কুরুচিকর মন্তব্য করলেই সতর্কবার্তা…
ভোটকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:
আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়া আগামী ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনেরর দিন ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মোটরসাইকেল, টেক্সিক্যাব, ট্রাক ও ইজিবাইক চালানো যাবে না। তবে সীমিত আকারে চলবে পাবলিক বাস।
রবিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৈধ অস্ত্র পরিবহন, বহন ও প্রদর্শন করা যাবে না। স্বাভাবিক নিরাপত্তার পাশাপাশি পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে মোবাইলে টহল, গোয়েন্দা টিমসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রেরর তালিকা দিলে সেখানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সুষ্ঠু ভোটের জন্য গোয়েন্দা সংস্থা, নিরাপত্তা বাহিনী যেখানে যা প্রয়োজন, নির্বাচন কমিশন যেভাবে যা দেবে আমরা তৈরি আছি। আমাদের কিছু সুপারিশ নির্বাচন কমিশনকে দিচ্ছি। সে অনুযায়ী বাকি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সভায় পু্লিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২) ফরহাদ আহম্মদ খান উপস্থিত ছিলেন।
ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিভিন্ন স্থানে কাউন্সিলরপ্রার্থীসহ হয়রানিমূলক গ্রেফতারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তালিভুক্ত আসামি যাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হয়ে গেছে তাদের ছাড়া পুলিশ কাউকে ধরছে না। ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকেই ধরা হচ্ছে না।
বইমেলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে যা কিছু প্রয়োজন সবকিছু ব্যবস্থা রয়েছে। আনসার, পুলিশ, র্যাব যা প্রয়োজন হয় প্রস্তুত আছে। যদি প্রয়োজন হয় বিজিবিও প্রস্তুত থাকবে।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র এখনও কোনটাই মনে হচ্ছে না। যদি থাকে নির্বাচন কমিশন থেকে লিস্ট আসবে, সে অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।