ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম ইউটিউবে আপত্তিকর কমেন্টকারীদের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নেবে প্রতিষ্ঠানটি। কুরুচিকর মন্তব্য করলেই সতর্কবার্তা…
রংপুরে আমন ধান কিনতে ‘কৃষকের অ্যাপ’ উদ্বোধন
নিউজ ডেস্ক:
প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যে সর্বাধুনিক কৃষকবান্ধব ‘কৃষকের অ্যাপ’ নামে স্মার্টফোন অ্যাপ উদ্বোধন হয়েছে। এতে কৃষকের সময়, খরচ বাঁচবে, কমবে হয়রানি। প্রথমবারের মতো চলতি আমন মৌসুমে ‘কৃষকের অ্যাপ’ দিয়ে দেশের ১৬ জেলার ১৬টি উপজেলার কৃষকদের থেকে ধান কিনবে সরকার।
সোমবার দুপুরে সারাদেশে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে ডিজিটাল খাদ্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা ও ‘কৃষকের অ্যাপ’ উদ্বোধন করেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার সরকারি সেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া। সেই লক্ষ্য অর্জনে সরকারি সেবা এখন হাতের মুঠোয়। কৃষকদের ধান ও চাল বিক্রিতে হয়রানি রোধ হবে। আর অহেতুক সময় নষ্ট হবে না। খরচও কমে আসবে। সর্বাধুনিক ডিজিটাল কৃষকবান্ধব সেবা ‘কৃষকের অ্যাপ’।
এদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রংপুর প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন- রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুরের উপ-পরিচালক ড. সরওয়ারুল হক, রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সৈয়দ এনামুল কবীর, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদিয়া সুমী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, মেট্রোপলিটন কৃষি কর্মকর্তা আমিনা খাতুন, কৃষক প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম বকসীসহ বিভিন্ন দফতের কর্মকর্তা।
রংপুর বিভাগের মধ্যে রংপুর সদর উপজেলা ও দিনাজপুর উপজেলায় নতুন এই ডিজিটাল পদ্ধতি ‘কৃষকের অ্যাপ’ দিয়ে ধান কিনবে সরকার। এছাড়াও এই অ্যাপের মাধ্যমে সাভার, গাজীপুর সদর, ময়মনসিংহ সদর, জামালপুর সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, কুমিলস্না সদর দক্ষিণ, বরিশাল সদর, ভোলা সদর, নওগাঁ সদর, বগুড়া সদর, ঝিনাইদহ সদর, যশোর সদর, হবিগঞ্জ সদর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হবে।
উল্লেখ্য, কৃষকের অ্যাপ ব্যবহারের জন্য শুরুতেই এটি স্মার্টফোনে ডাউনলোড করতে হবে। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রির আবেদন করা যাবে। নিবন্ধনের দিন থেকেই কৃষক ধান বিক্রির আবেদন করতে পারবেন। প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া ডিজিটাল মাধ্যম ‘কৃষকের অ্যাপ’-এ নিবন্ধনের শেষ তারিখ ৬ ডিসেম্বর। ধান বিক্রির আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর।