ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম ইউটিউবে আপত্তিকর কমেন্টকারীদের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নেবে প্রতিষ্ঠানটি। কুরুচিকর মন্তব্য করলেই সতর্কবার্তা…
৪২ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর মোবাইল নম্বর ফাঁস
প্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্য ফাঁস নিয়ে বেশ বেকায়দায় রয়েছে বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এর মধ্যে আবারো এক অভিযোগ উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বড় এ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এবার ৪২ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর মোবাইল নম্বর ফাঁস হয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ‘টেক ক্রাঞ্চ’।
তাদের দাবি, ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া ফোন নম্বরগুলো নিয়ে একটি উন্মুক্ত ডাটাবেজ তৈরি করে তা অনলাইনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এই তথ্যগুলো এমন একটি অনলাইন সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়, যেটা পাসওয়ার্ড দ্বারা সুরক্ষিত ছিলো না। এ কারণেই ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বর একটি উন্মুক্ত ডাটাবেজে প্রকাশিত হয়েছে।
‘টেক ক্রাঞ্চ’র দাবি, এই ৪২ কোটির মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি অ্যাকাউন্ট আমেরিকার, ভিয়েতনামের ৫ কোটি এবং ব্রিটেনের প্রায় ২ কোটি। বাকি অ্যাকাউন্ট অন্য দেশের বলে জানা গিয়েছে।
মোবাইল নম্বর ফাঁসের এই ঘটনা ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মেনে নিলেও সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, ওই ডেটাবেসে একই নম্বর একাধিক বার ছিলো। তাই সংখ্যাটা এত বিপুল মনে হচ্ছে। আদতে তা ২০ কোটির বেশি নয় বলেই দাবি তার।
কিন্তু তা-ই বা হবে কেন? কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা-কাণ্ডের সময় থেকেই ফেসবুকের বিরুদ্ধে তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ, ফেসবুক থেকে তথ্য হাতিয়েই মার্কিন ভোটে হস্তক্ষেপ করছিলো মস্কো। এই ফোন নম্বর ফাঁসের ঘটনাটিও অনেক আগেকার বলে দাবি ফেসবুকের। যখন ফোন নম্বর দিয়ে আইডি খোঁজার ফিচার ছিল ফেসবুকে।
কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নিয়ে ২০১৮-র মার্চে জলঘোলা শুরুর পরের মাসেই এই ফিচার তুলে নেয় ফেসবুক। তাদের দাবি, এই ফিচার কাজে লাগিয়েই ডেটাবেস থেকে ফোন নম্বর সরানো হয়েছিলো। সেই সব নম্বরের বেশির ভাগের এখন অস্তিত্ব নেই বলেও দাবি ফেসবুকের। তবু অস্বস্তি কাটছে না ফেসবুকের। এক জনের ফোন নম্বর বেহাত হয়ে গেলে কীভাবে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ নানাবিধ অ্যাকাউন্ট বেহাত হয়ে যেতে পারে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।