ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম ইউটিউবে আপত্তিকর কমেন্টকারীদের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নেবে প্রতিষ্ঠানটি। কুরুচিকর মন্তব্য করলেই সতর্কবার্তা…
আইসিটি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ আ.লীগের
নিউজ ডেস্ক:
ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতিকে আরো এগিয়ে নিতে আইসিটি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি। গতকাল সোমবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দলটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় একটি তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিণির্মানের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে আমরা নিজেদের প্রস্তুত করছি। এরই ধারাবাহিকতায় আইসিটি খাতে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। কিন্তু আমরা চাই এই সাফল্যের ধারা যেন আরো ত্বরান্বিত হয়। সে জন্য বাজেটে আইসিটি খাতে বরাদ্দ আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর কাছে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ-কমিটির পাঠানো প্রস্তাবে ৫টি দফা উল্লেখ করা হয়। প্রস্তাবে সরকারি কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, কোনো গোষ্ঠী অথবা ব্যক্তিশ্রেণির জন্য আইটি ম্যানেজমেন্ট (বেসিক ও এডভান্সড), প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, ইনফরমেশন সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট, আইটি অডিট, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, ই-গভর্নেন্স ও অটোমেশন ইত্যাদি সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করার সুপারিশ করা হয়। এছড়া স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে আইসিটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রযুক্তি নির্ভর যুগোপযোগী শিক্ষাদানের উপযোগী করে গড়ে তোলারও পরামর্শ দেয়া হয়।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির ওই প্রস্তাবে সেন্টার ফর এক্সিলেন্স এবং শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট ফর ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি এর মাধ্যমে রোবোটিক্স, ব্লক চেইন, আইওটি, বিগ ডেটা অ্যানালিটিকস, মেশিন লার্নিং, ডিপ লার্নিং, থ্রিডি প্রিন্টিংসহ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিগুলোর উপর প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সুপারিশ করা হয়। একই সাথে দেশি সফটওয়্যার ও আইটিইএস সেবা ক্রয়ে অগ্রাধিকার প্রদান করা ও ট্যাক্স ছাড় নীতিমালা প্রণয়ন করার কথাও বলা হয় সেখানে।
প্রস্তাবে বিদেশি বিশেষায়িত সফটওয়্যারের (পার্সোনাল ইউজ সফটওয়্যার ব্যতীত) উপর অধিক কর ধার্যের মাধ্যমে দেশীয় সফটওয়্যার ও আইটিইএস শিল্পকে উত্সাহিত করার পরামর্শ দেয়া হয়। পাশাপাশি একটি টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের মূলধন বৃদ্ধি করা ও সম্ভাবনাময় স্টার্টআপগুলোতে সরকারের বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা এবং রেজিস্টার্ড আউটসোর্সারদের জন্য ঋণ সুবিধার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়।
This Post Has 0 Comments