ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম ইউটিউবে আপত্তিকর কমেন্টকারীদের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নেবে প্রতিষ্ঠানটি। কুরুচিকর মন্তব্য করলেই সতর্কবার্তা…
কনটেন্টের জন্য সংবাদমাধ্যমগুলোকে অর্থ দিতে হবে ফেইসবুককে
নিউজ ডেস্ক:
অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী কনটেন্টের জন্য সংবাদমাধ্যমগুলোকে অর্থ দিতে হবে ফেইসবুককে। অর্থ দেওয়া এড়াতে ফেইসবুক যদি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদেরকে খবর শেয়ারিংয়ে বাধা দেয় তবে প্রতিষ্ঠানটি “দূর্বল” হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির শীর্ষস্থানীয় অ্যান্টিট্রাস্ট নীতিনির্ধারক। কনটেন্টের জন্য সংবাদমাধ্যমগুলোকে অর্থ দিতে ফেইসবুক এবং গুগলকে বাধ্য করার প্রস্তাব করেছে অস্ট্রেলিয়া।
এই পদক্ষেপের ঘোরতর বিরোধিতা করেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলেছে, ফেইসবুক জানিয়েছে যে, প্রস্তাবিত আইন বাস্তবায়ন হল এ মাসে অস্ট্রেলিয়ানদেরকে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক খবর শেয়ার করতে দেওয়া হবে না। আইন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে এখনও দর কষাকষি চলছে ফেইসবুক এবং অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশনের (এসিসিসি) মধ্যে।
ভিডিও কনফারেন্সিং সেবা জুমে দেওয়া এক বক্তৃতায় এসিসিসি চেয়ারম্যান রড সিমস বলেন, “এটি অস্ট্রেলিয়ান গণতন্ত্রের জন্য লজ্জাজনক হবে এবং তারা এই পদক্ষেপ নিলে এটি ফেইসবুক গ্রাহকের জন্যও লজ্জাজনক হবে।”
“এটি ফেইসবুককে দূর্বলও করতে পারে, তাই এটি তাদেরই সিদ্ধান্ত। গ্রাহক যদি ফেইসবুক থেকে খবর না পায়, তারা খবর পেতে অন্য কোথাও যাবে,” যোগ করেন সিমস। ইন্টারনেট জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বিজ্ঞাপনী আয় হারাচ্ছে প্রথাগত সংবাদমাধ্যমগুলো। ফলে সংবাদমাধ্যমগুলোকে যাতে এই প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থ দেয় সেই ব্যবস্থা করতে পদক্ষেপ নিয়েছে কিছু দেশ। সিমস বলেন, কোনো মডেলই কার্যকর হয়নি।
সিমস আরও বলেন, বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বা সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কর আরোপ করা অস্ট্রেলিয়ার পরিকল্পনা নয়, “এটি বাজারে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতার প্রশ্ন এবং যা আমাদের সমাজের ভবিষ্যতের জন্য জরুরি।”
“আপনার যদি একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার থাকে, আপনার এটি প্রয়োজন পড়বে না।” আইন এড়াতে ফেইসবুক যদি অস্ট্রেলিয়ায় খবর শেয়ার করা বন্ধ করে, প্রতিষ্ঠানটি “অন্য কোথাও আরও বাজে কিছুর সম্মুখীন হতে পারে,” যোগ করেন সিমস।
This Post Has 0 Comments