নিউজ ডেস্ক: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে জিংক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর জিংক…
কেটে গেলে রক্ত পড়া বন্ধ করতে ডিম
লাইফস্টাইল ডেস্ক
পুষ্টি মেটাতে ডিমের চাহিদা অনেক। দামও কম হওয়ায় এটা সবার মধ্যেই বেশ জনপ্রিয়। কম খরচে এতো প্রোটিন আর কোনো খাবারে নেই। তবে শুধু খাবার হিসেবে নয়, দৈনন্দিন আরো কিছু কাজে ডিম ব্যবহার করতে পারবেন। দেখে নিন সেগুলো-
কন্ডিশনার: হঠাৎ কন্ডিশনার শেষ হয়ে গেছে? চিন্তার কারণ নেই। অলিভ অয়েল আর ডিমের কুসুম একসঙ্গে মিশিয়ে শ্যাম্পুর পর লাগিয়ে রাখুন চুলে। কন্ডিশনারের চেয়ে এটি ব্যবহারে চুল ভালো হবে।
গাছের প্রয়োজন: ডিম সেদ্ধর পর সেই পানি ও ডিমের খোসা গুঁড়ো করে গাছের গোড়ায় দিন। ডিমের খোসা গাছে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে খুবই কার্যকর। গাছকে নানা পতঙ্গের হাত থেকেও বাঁচায় ডিমের খোসা।
গয়না পরিষ্কার: রুপার গয়না কয়েকদিন পরলেই কালো হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। বাতাসের অক্সিজেনের প্রভাবেই এমনটা হয়। ডিম এই গয়নাগুলোকে পরিষ্কার করে ঝকঝকে করে দিতে পারে সহজেই। এক্ষেত্রে ডিম অনেকক্ষণ ধরে খুব শক্ত করে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর খোসা ছাড়িয়ে দুভাগ করে কুসুম ছাড়িয়ে নিন। সেই কুসুম একটি ঢাকনাযুক্ত পাত্রে রেখে হাত দিয়ে ঝুরঝুরে করে গুঁড়ো করে নিন। এবার তাতে হালকা কোনো পেপার টাওয়েল বিছিয়ে তার ওপর রাখুন রুপার গয়নাগুলো। পাত্রের মুখের চারপাশে ময়দার প্রলেপ লেপে বায়ুনিরুদ্ধ করে বন্ধ করে দিন। দু’দিন পর সেই গয়নাগুলো বের করলেই দেখবেন, কালো ভাব একেবারে উধাও। ডি-অক্সিডাইজার হিসেবে ডিমের এই ব্যবহার নানা জুয়েলারিতেও করা হয়।
রক্ত বন্ধ করতে: দুর্ঘটনাবশত কেটে গেলে দেখা যায় অনেক সময় রক্ত বন্ধ হতে চায় না। এসময় ডিমকে কাজে লাগান। এমনিতে প্রায় সবার বাড়িতেই ডিম থাকে। কিংবা কোথাও বনভোজনে গেলে ডিম সেদ্ধ সঙ্গে নিয়ে যাওয়া আমাদের অভ্যাস। সেদ্ধ ডিমের খোসা ও সাদা অংশের মাঝে যা পাতলা খোসা থাকে তা ছাড়িয়ে নিন। সেই খোসা ক্ষতস্থানে চেপে ধরে থাকলেই রক্ত বন্ধ হবে দ্রুত। এমনকি দ্রুত ক্ষতের দাগ মেলাতেও এটি বেশ কার্যকর।