অনলাইন ডেস্ক:
বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবন চিন্তাও করা যায় না। তবে এসব স্মার্টফোন থেকে মানবদেহের জন্য কম বেশি ক্ষতিকারক তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের বিকিরণ হয়। এমন বিকিরণে শীর্ষে আছে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড শাওমি, আর সবচেয়ে কম বিকিরণ নির্গত হয় স্যামসাংয়ের ফোনে।

জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান এবং বাজার গবেষণা বিষয়ক পোর্টাল স্ট্যাটিসটা’র এক প্রতিবেদনে জানা গেছে এমন তথ্য। সম্প্রতি পৃথক দুই তালিকায় সবচেয়ে কম ও বেশি তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের বিকিরণ হয় এমন ১৬টি করে স্মার্টফোন মডেলের নাম প্রকাশ করে পোর্টালটি। সেখানে দেখা যায়, চীনভিত্তিক স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমি ব্র্যান্ডের ‘এমআই এ১’ মডেলের হ্যান্ডসেটে বিকিরণ হয় সবচেয়ে বেশি। আর দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক স্যামসাং ব্র্যান্ডের ‘গ্যালাক্সি নোট ৮’ মডেলের হ্যান্ডসেটে বিকিরণ হয় সবচেয়ে কম।

সবচেয়ে বেশি বিকিরণ হয় এমন ১৬টি হ্যান্ডসেটের তালিকায় ব্র্যান্ড হিসেবে শাওমি ছাড়াও আছে ওয়ান প্লাস, এইচটিসি, গুগল, আইফোন, জিটিই এবং সনি এক্সপিরিয়া। এসব স্মার্টফোন ব্যবহারে প্রতি কিলোগ্রামে সর্বোচ্চ এক দশমিক ৭৪ ওয়াট বিকিরণ থেকে সর্বনিম্ন এক দশমিক ২৯ ওয়াট পর্যন্ত বিকিরণ হয়ে থাকে। আবার শুধু মডেল বিবেচনায় এ তালিকায় ৪টি করে হ্যান্ডসেট আছে শাওমি এবং ওয়ান প্লাস।

এগুলোর মধ্যে শাওমির মডেলগুলো হলো- এমআই এ১ (১ম), এমআই ম্যাক্স৩ (৩য়), এমআই মিক্স৩ (৬ষ্ঠ) এবং রিদমি নোট ৫ (১৫তম)। আর ওয়ান প্লাস ব্র্যান্ডের মডেলগুলো হলো- ৫টি (২য়), ৬টি (৪র্থ), ফাইভ (৮ম) এবং সিক্স (১৩তম)।

অন্যদিকে সবচেয়ে কম বিকিরণ হওয়া স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের তালিকায় শীর্ষে আছে স্যামসাং। ব্র্যান্ডটির গ্যালাক্সি নোট৮ মডেলের হ্যান্ডসেট থেকে ক্ষতিকারক তরঙ্গ বের হয় সবচেয়ে কম, ব্যবহারে প্রতি কিলোগ্রামে শূন্য দশমিক ১৭ ওয়াট। ১৬টি মডেলের এ তালিকায় ৮টি মডেলের হ্যান্ডসেট নিয়ে শীর্ষেও আছে স্যামসাং। এছাড়াও তালিকায় জায়গা পেয়েছে জিটিই এর তিনটি এবং এলজি ও মটোরোলার দু’টি করে হ্যান্ডসেট।

/এসএইচ

Pearl IT
shahadat.hossen154@gmail.com

Would you like to share your thoughts?

Your email address will not be published. Required fields are marked *