নিউজ ডেস্ক: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে জিংক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর জিংক…
গণপিটুনি থেকে নিরাপদ থাকতে যা করতে পারেন!
নিউজবিডি ডেস্ক:
গত কয়েকদিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন কয়েকজন নিরীহ মানুষ। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আজ সোমবারও ঘটেছে এমন ঘটনা। যাদের সাথে এমনটা ঘটেছে তাদের অধিকাংশই নিরীহ সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি গণপিটুনির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। এ ঘটনা সামাল দিতে পুলিশ সদর দপ্তর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে’ বলে গুজব ছড়ানোকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মর্মান্তিকভাবে কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। গুজব ছড়িয়ে ও গণপিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনা ফৌজদারি অপরাধ। দ্রুতই জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছেলেধরা সন্দেহ হলে গণপিটুনি না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
নাগরিক হিসেবে চলমান পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটার আগ পর্যন্ত আমরা কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারি। সেগুলো হলো-
১. অপরিচিত এলাকায় যাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং গেলে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
২. অপরিচিত কোথাও গেলে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে এদিক সেদিক উদভ্রান্তের মতো তাকানো থেকে বিরত থাকুন।
৩. কারও সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তার সাথে আগেই যোগাযোগ করে নিন, সারপ্রাইজ দিতে কিংবা কোনো কারণেই না জানিয়ে যাবেন না।
৪. নিজের বাচ্চাকে তার মাকে ছাড়া কোথাও নিয়ে যাবেন না। বিশেষ করে যেসব বাচ্চারা ছিচকাদুনে এবং খালি বায়না ধরে তাদের নিয়ে কয়েকটা দিনের জন্য দূরত্বে বের হবেন না।
৫. যদি আপনি চাকরীজীবী হোন, তাহলে প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড সাথে রাখুন, প্রয়োজনে অপরিচিত এলাকায় গেলে গলায় ঝুলিয়ে রাখুন।
৬. কেউ কোন প্রশ্ন করলে থতমত খাবেন না; সহজভাবে উত্তর দিন। ভাব নিতে যাবেন না।
৭. রাস্তা-ঘাটে কারো সাথে উটকো ঝামেলায় জড়াবেন না।
৮. এ ধরণের ঘটনা দেখলে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে পুলিশকে জানান।
৯. যদি আপনি কোনো এলাকায় নতুন হোন (আপনাকে যদি কেউ না চিনে থাকে) তাহলে কর্মক্ষেত্র থেকে সরাসরি বাসায় চলে আসুন।
১০. সর্বোপরি, এ অবস্থার দ্রুতই অবসান হবে আশা করি। তাই আতঙ্কিত হবেন না।