নিউজ ডেস্ক:
বেসরকারি মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের অভ্যন্তরীণ ডাটাবেজে ঢুকে পোস্ট পেইড সিমের মালিকানা পরিবর্তন ও ক্রেডিট লিমিট বাড়িয়ে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি চক্র। ইতোমধ্যে ওই চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।

সিআইডি বলছে, গ্রামীণফোনের কল সেন্টার পরিচালনায় থার্ড পার্টি হিসেবে চুক্তিবদ্ধ দুটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী তারা। এ চক্রে আরো কয়েকজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি।

বেসরকারি মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের ডাটাবেজে ঢুকে একটি চক্র কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এমন অভিযোগে ১ জানুয়ারি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে একটি মামলা করে কর্তৃপক্ষ। মামলাটি তদন্ত শুরু করে সিআইডি।

জিনিক্স ইনফোসিস লিমিটেড ও উইপ্রো লিমিটেড গ্রামীণফোনের কল সেন্টার পরিচালনায় থার্ড পার্টি হিসেবে চুক্তিবদ্ধ দুটি প্রতিষ্ঠান। তদন্তে বেরিয়ে আসে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত এ দুটি প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মী। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিষ্ঠান দুটির চার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তাদের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

সিআইডি অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা বিভিন্ন কনটেস্ট ও সিমের বিপরীতে তারা নিয়ে গেছেন। তদন্ত শুরু করতে গিয়ে দেখতে পাই এখানে বেশকিছু লোক জড়িত। তার মধ্যে আমরা ৪ জনকে গ্রেফতার করেছি। তার মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন তারা এ কাজ করেছেন।

পুলিশ বলছে, ২০১৯ সালের আগস্টে কল সেন্টারের ওই কর্মীরা প্রতিষ্ঠানটির সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশ করে। প্রথমে ১৬টি পোস্ট পেইড সিমের ক্রেডিট লিমিট বাড়িয়ে ১৩ লাখ টাকা ট্রান্সফার করে। ওই বছরের অক্টোবর এবং ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আরও ১১টি সিমের লিমিট বাড়িয়ে ৭২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে।

এসব টাকা উত্তোলনের জন্য ফ্লেক্সিলোডের দোকানদারদের সঙ্গে চুক্তি করে চক্রটি। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের মিনিট ও ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রি বাবদ ওই টাকা তারা ব্যবহার করে। ট্রানজেকশন হওয়া টাকা গ্রামীণফোনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা না হওয়ায় বিষয়টি তাদের নজরে আসে। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে সিমের লিমিটের টাকা জব্দ করে প্রতিষ্ঠানটি। যদিও তার আগেই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে সিআইডি।

Pearl IT
shahadat.hossen154@gmail.com

Would you like to share your thoughts?

Your email address will not be published. Required fields are marked *