নিউজ ডেস্ক:
প্রতারণার সঙ্গে জড়িত দেশে অনলাইন শপগুলোর বড় অংশই। গ্রাহককে ঠকিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এসব অপরাধীদের ধরতে সাইবার পুলিশের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানালেন অনলাইন প্লাটফর্ম সুরক্ষিত রাখতে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের পাশাপাশি খোলা হয়েছে এজেন্সি।

ব্যস্ত নাগরিক জীবনে সহজে কেনাকাটার বড় উৎস এখন অনলাইন শপিং। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের হিসাব বলছে অতিমারী করোনার কারণে গেল আট মাসে অনলাইনে কেনাকাটার হার বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। টাকার অংকে যা কমপক্ষে ১৬ হাজার কোটি।

ন্যায্য মূল্যে সঠিক পণ্যটি ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিয়ে এরইমধ্যে বেশ কিছু ই-কমার্স শপ বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে। আবার আকর্ষণীয় অফার দিয়ে টাকা নিয়ে পণ্য না দেয়ার অভিযোগ আছে বহু অনলাইন শপের বিরুদ্ধে।

প্রতারিত গ্রাহকরা বলেন, ওয়েব সাইটে যে পণ্যটি দেখানো হয়েছিল। সেই পণ্যটি দেয়নি, অন্য একটি পণ্য দিয়েছে। প্যাকেট খুলার পর দেখি আমরা যা অর্ডার করেছি সেটি নয়।

এদিকে অনলাইন শপিং এ প্রতারণা ঠেকাতে নড়েচড়ে বসেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গঠন করা হচ্ছে বিশেষ সেল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান বলেন, অনলাইন শপগুলো কিভাবে পরিচালিত হবে তার জন্য ই-কমার্স পরিচালনার নিতিমালা তৈরি করা হয়েছে। ই-কমার্স নিয়ে যারা কাজ করেন তারা যদি নীতিমালাটি ভালো করে পড়েন তাহলে তা স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করতে পারবে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানালেন, অনলাইনে প্রতারণা ঠেকাতে ডেটা সেন্টারের পাশাপাশি পাশ করা হয়েছে শক্ত আইন। তিনি বলেন, ১০৪ নম্বরে কল করলে জনগণ সাইবার সিকিউরিটি সেবা গ্রহণ করতে পারবে। ৩৩৩ অথবা ৯৯৯ কল করেও জরুরি ভিত্তিতে সাইবার সিকিউরিটি সহযোগিতা নিতে পারবে।

তবে অপরাধীদের শনাক্ত এবং দ্রুত গ্রেপ্তারে সাইবার পুলিশ বাহিনী গঠনের পরামর্শ তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের।

তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জাকারিয়া স্বপন বলেন, অপরাধ বড় বা ছোট ধরণের। সেই অপরাধ দমন করার জন্য সাইবার পুলিশ এতটা শক্তিশালী নয়। আমরা অন্য অপরাধ ঠেকানোর জন্য যেভাবে কাজ করছি, অনলাইন শপ নিয়ে ততোটুকু গুরুত্ব দেয়নি। এজন্য সাইবার পুলিশ আরও শক্তিশালী করা দরকার।
পাশাপাশি অনলাইনে প্রতারণা থেকে বাঁচতে নাগরিকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তারা। সূত্র : আরিটিভি।

Pearl IT
shahadat.hossen154@gmail.com

Would you like to share your thoughts?

Your email address will not be published. Required fields are marked *