নিউজ ডেস্ক: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে জিংক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর জিংক…
প্রাকৃতিকভাবে ঘর ঠাণ্ডা রাখুন
বাইরের তাপমাত্রা বাড়ার ফলে ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কষ্টকর হয়ে যায়। তবে সাধারণ কিছু পন্থায় ঘরের ভেতরে সহনীয় তাপমাত্রা রাখা যায়।
গাছ কম থাকা বা কৃত্রিমভাবে ঘর ঠাণ্ডা করার যন্ত্র থেকে বের হওয়া গ্যাস প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর। তাই প্রাকৃতিকভাবে ঘরের ভেতর সহনীয় তাপমাত্রায় রাখতে চাইলে কয়েকটি পন্থা অবলম্বন করা যায়।
গৃহসজ্জাবিষয়ক ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর ঠাণ্ডা রাখার কয়েকটি উপায় এখানে দেওয়া হল।
বায়ু পরিশোধক ও কম পানি লাগে এমন গাছ লাগান
এই ধরনের গাছ লাগানো হলে ঘরের পরিবেশ ঠাণ্ডা ও পরিষ্কার রাখে। অ্যালো ভেরা, ঔষধি গাছ নামে পরিচিতি পেলেও এটা ঘরের তাপমাত্রা কমাতে এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, লতানো গাছ অন্যান্য গাছে মোট অক্সিজেন গ্রহণ করে না। অন্যদিকে এটা আক্সিজেন ত্যাগ করে বাথরু, ঠাণ্ডা ও সতেজ পরিবেশ সৃষ্টি করে বলে জানান ভারতের ‘আর্থলি ক্রিয়েশন’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নকশাকার হারপ্রিত আহলুওয়ালিয়া।
আরিকা পাম গাছ প্রাকৃতিক আর্দ্রতা অপসারক হিসেবে কাজ করে। কারণ এটা বেনজিন, ফর্মালডিহাইড এবং বাতাস থেকে ট্রাইক্লোরোইথাইলিন অপসারণ করে। ডুমুর গাছ বাতাস শুদ্ধ করে এবং তাপমাত্রা ঠাণ্ডা রাখে।
নাসা’র তথ্য মতে, বাতাস পরিশোধনে ফার্ন গাছ সহায়তা করে। ‘গোল্ডেন পোথস’ এমন এক উদ্ভিদ, যা একটু আলো এবং সামান্য যত্ন পেলেই বায়ু শান্ত এবং শুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে।
দরজা জানালা ও পর্দা খোলা রাখুন
জানালার ওপর কালো শেড দিয়ে ও পর্দা নামিয়ে ঘরের বাড়তি তাপমাত্রা ঠেকানো যায়। এই পর্দা ঘরকে ছোট গ্রিন হাউজে রুপান্তরিত হওয়া থেকে রোধ করে। ফলে ঘরের ভেতরে বাড়তি তাপ জমে না।
সবচেয়ে ভালো হয় যদি মোটা পর্দা ব্যবহার করা হয়। এটা ঘরে সরাসরি সূর্যালোক আসতে বাধা দেয় বলে জানান, শ্রী কৃষ্ণা গ্রুপ’য়ের পরিচালক রিশাভ সিঙ্গদিয়া।
অল্প কিছু জায়গা ভিজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন
সিঙ্গদিয়া আরও বলেন, “ঘরের পরিবেশ ঠাণ্ডা রাখতে বরফ ঠাণ্ডা পানিতে একটা কাপড় ভিজিয়ে তা বাতাসা চলাচলের জায়গায় রেখে দিন। এই কৌশল ঘর ঠাণ্ডা করতে কাজে লাগে। এবং ঘরের বাড়তি তাপ বের করে দেয়।
রাতের বাতাস
সন্ধ্যার পর বয়ে যাওয়া মৃদু বাতাসে ঘরে ঢোকার ব্যবস্থা করুন। এই রাতের মৃদুমন্দ বাতাস ঘরের ভেতরের গরম ভেজা বাতাস বের করে দিতে সাহায্য করে। ফলে ঘর হয় আরামদায়ক।
This Post Has 0 Comments