নিউজ ডেস্ক:
অনলাইন প্লাটফর্ম ফেসবুক ও ইউটিউবে বিজ্ঞাপন দিতে গ্রাহকদের গুণতে হচ্ছে ৩০ শতাংশ ভ্যাট। মূলত সরকারি কর্তৃপক্ষ এনবিআর থেকে স্পষ্ট নির্দেশনার অভাবে একজন গ্রাহককে নিয়মের বাইরে গিয়ে দুই বার ভ্যাট গুণতে হচ্ছে। আর এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন গ্রাহক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিলে প্রথমে ১৫ শতাংশ ভ্যাট কাটছে ফেসবুক বা ইউটিউব। এরপর স্থানীয় ব্যাংকগুলো আরেকবারে আরো ১৫ শতাংশ ভ্যাট কাটছে। এতে গ্রাহককে মোট ৩০ শতাংশ ভ্যাট গুনতে হচ্ছে। এ বিষয়ে কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্ড বিভাগের কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকারি স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় বিজ্ঞাপনদাতারা দ্বৈত ভ্যাটের কথা স্বীকার করেন।

তারা বলছেন, অনিবাসী প্রতিষ্ঠানগুলোর ভ্যাট কর্তনের নির্দেশনা পাওয়ার পরই ব্যাংকগুলো তাদের সফটওয়্যারের মধ্যে এই পরিবর্তন নিয়ে আসে, যাতে করে এই ধরনের লেনদেন যখনই হবে তখন (বিজ্ঞাপনদাতা) গ্রাহকদের থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট স্বয়ংক্রিয় কর্তন করা সম্ভব হয়। আবার গত জুলাই থেকে ফেসবুকের সঙ্গেও সরকারের চুক্তি হয়েছে, এখন থেকে তারা দেশে লিয়াজোঁ অফিস খুলে নিজেরাই ভ্যাট কেটে সরকারের কাছে জমা দেবে। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকার বা এনবিআর থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় ব্যাংকগুলো আগের মতোই ভ্যাট কাটছে। আবার ফেসবুকও বিলের ওপর ভ্যাট কর্তন করে গ্রাহকদের পাঠাচ্ছে।

এ ব্যাপারে এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. মাসুদ সাদিক বলেন, ‘এটা হওয়ার কথা নয়। এ পর্যন্ত আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। এরপরও এ রকম হয়ে থাকলে সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিপক্ষের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে আবেদন করা হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

জানা যায়, ব্যাংকগুলো তাদের আদায় করা ১৫ শতাংশ ভ্যাটই সরকারি কোষাগারে জমা দিচ্ছে। ওদিকে ফেসবুকসহ অন্য অনেক অনাবাসী প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনের আয়ের ওপর ভ্যাট দেওয়া শুরু করলেও এখানে লুকোচুরি করা হচ্ছে বলে জোরালো অভিযোগ উঠেছে। এদিকে দ্বৈত ভ্যাটের বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট নির্দেশনা দাবি করে ভুক্তভোগীরা বলছেন, দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোই ভ্যাট কর্তন করে সরকারি কোষাগারে জমা দিচ্ছে। আবার ফেসবুক ১৫ শতাংশ ভ্যাট কাটছে। ফেসবুককে এই ১৫ শতাংশ ভ্যাট কাটা বন্ধ করতে হবে।

Pearl IT
shahadat.hossen154@gmail.com

Would you like to share your thoughts?

Your email address will not be published. Required fields are marked *