নিজস্ব প্রতিবেদক:
হাইব্রিড বা বৈদ্যুতিক গাড়ির মালিকদেরও অন্যান্যদের মত অগ্রিম কর দিতে হবে, যার পরিমাণ সর্বনিম্ন ২৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা।

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবকালে বৃহস্পতিবার সংসদে উপস্থাপিত অর্থ আইনে বৈদ্যুতিক গাড়ির মালিকদের অগ্রিম কর দেওয়ার বিষয়টি যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

একই সঙ্গে সব ধরনের গাড়ির মালিকদের প্রতিবছর অগ্রিম কর দেওয়া বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে আইনে।

অগ্রিম করের আওতায় আসছে হাইব্রিড গাড়ি
দেশে হাইব্রিড গাড়ির সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাড়ছে। প্রতিবছরই ব্যাটারিচালিত এসব গাড়ি সড়কে নামছে বলে বিভিন্ন সময় তথ্য দিয়েছে দেশে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডা।

এমন ধরনের গাড়ির অগ্রিম কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে ইঞ্জিনের ক্ষমতা ৭৫ কিলোওয়াটকে ভিত্তি হিসেবে চিহ্নিত করে ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এরপর ২৫ কিলোওয়াট করে বাড়িয়ে মোট ছয়টি স্তর করা হয়েছে। পরের স্তরের গাড়ির জন্য গুনতে হবে বেশি অগ্রিম কর।

যেমন, ৭৫ থেকে ১০০ কিলোওয়াট হলে ৫০ হাজার টাকা, ১০০ থেকে ১২৫ কিলোওয়াট হলে ৭৫ হাজার টাকা, ১২৫ থেকে ১৫০ কিলোওয়াটের জন্য ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, এরপর ১৭৫ কিলোওয়াট পর্যন্ত দেড় লাখ টাকা এবং ১৭৫ কিলোওয়াটের বেশি হলে অগ্রিম কর দিতে হবে দুই লাখ টাকা।

অর্থ আইনে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবছর ৩০ জুনের আগে সব ধরনের মোটরগাড়ির মালিকদের অগ্রিম করা পরিশোধ করা হবে।

কেউ যদি তা না করেন তাহলে বিআরটিএর কাছ থেকে ফিটনেস সনদ গ্রহণের সময় আগের বছরের এবং পরের বছরের, অর্থ্যাৎ দুই বছরের অগ্রিম কর দিতে হবে।

বর্তমানে সিসিভেদে ২৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা অগ্রিম কর দিতে হয়। মাইক্রোবাসের জন্য এই কর ৩০ হাজার টাকা।

দেশে বেশি ব্যবহৃত দেড় হাজার সিসির গাড়ির ক্ষেত্রে অগ্রিম করা ২৫ হাজার টাকা। আর সাড়ে তিন হাজার সিসির বেশি ক্ষমতার গাড়ির ক্ষেত্রে তা দুই লাখ টাকা।

Pearl IT
shahadat.hossen154@gmail.com

Would you like to share your thoughts?

Your email address will not be published. Required fields are marked *