ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম ইউটিউবে আপত্তিকর কমেন্টকারীদের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নেবে প্রতিষ্ঠানটি। কুরুচিকর মন্তব্য করলেই সতর্কবার্তা…
বিটিআরসি’র নতুন ‘সাইবার সিকিউরিটি সেল’ গঠন
টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সাইবার জগতের কনটেন্ট মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-তে নতুন একটি ‘সাইবার সিকিউরিটি সেল’ গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার। সোমবার বিকেলে বিটিআরসির প্রধান সম্মেলন কক্ষে কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওই বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন। স্বাগত বক্তব্যে কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, প্রযুক্তির প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে সাইবার জগতে অপ্রীতিকর ঘটনা বাড়ছে, এতে অনেকের সামাজিক এবং পারিবারিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো রাষ্ট্রবিরোধী, ধর্মীয় উসকানিমূলক বা এসংক্রান্ত কোনো কনটেন্ট অপসারণ কিংবা বন্ধ করার অনুরোধ পাওয়া সাপেক্ষে বিটিআরসি কারিগরি ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। অতএব, কেউ সামাজিক মাধ্যম দ্বারা ব্যক্তিগত বা পারিবারিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিলে বিটিআরসি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
পরবর্তী সময়ে বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রি. জে. মো. নাসিম পারভেজ জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ৮ ধারা এর (১ ও ২) উপধারা অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালকের মাধ্যমে ডিজিটাল মাধ্যম থেকে কনটেন্ট অপসারণ বা ব্লক করার জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ করবে। বিটিআরসি অবমাননাকর পোস্ট এবং আপত্তিকর কনটেন্ট সরাতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে কনটেন্ট রিপোর্টিং সিস্টেমের (সিআরএস) মাধ্যমে অনলাইনে অনুরোধ জানায়। এরপর তারা তাদের গাইডলাইন অনুযায়ী কনটেন্ট অপাসারণ করে।
এছাড়া সরকারের অনুমোদনক্রমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমে (ডট) স্থাপিত সাইবার থ্রেট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স (সিটিডিআর) নামের কারিগরি সিস্টেমের মাধ্যমে আপত্তিকর ওয়েবসাইট, ডোমেইন এবং ব্লগ বন্ধ করার কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। ইতিমধ্যে সিটিডিআরের মাধ্যমে ২২ হাজার পর্নোগ্রাফি ও জুয়ারি সাইটে প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে।
গত এক বছরে বিটিআরসি ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ১৮ হাজার ৮৩৬টি লিংক অপসারণের অনুরোধ করে, যার মধ্যে ৪ হাজার ৮৮৮টি লিংক অপসারণ করা হয় এবং ইউটিউবে ৪৩১টি লিংক বন্ধ করার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ৬২টি লিংক বন্ধ করা হয়। এ ছাড়া সিটিডিআরের মাধ্যমে ১,০৬০টি ওয়েবসাইট এবং লিংক বন্ধ করা হয়।
This Post Has 0 Comments