নিউজ ডেস্ক: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে জিংক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর জিংক…
রান্নায় পেঁয়াজের বিকল্প ফুলকা!
নিউজ ডেস্ক:
পেঁয়াজের ঝাঁঝ বেশি থাকায় জনগণ রান্নার কাজে বিকল্প হিসেবে এর ফুলকা (পেঁয়াজের ফুলের ডাটা) ব্যবহার করছেন। অনেকে ফুলকা দিয়ে সালাদ তৈরি ও ভাতের সঙ্গে খাচ্ছেন।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের পক্ষে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, এ মৌসুমে ২ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়। সেখানে চাষাবাদ হয়েছে, ৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। এখান থেকে ৩৯ হাজার মেট্রিক টনের বেশি উৎপাদন আশা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, ১ নভেম্বর শুরু হওয়া এ চাষাবাদ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। জেলায় পেঁয়াজের চাহিদা ৩৫ থেকে ৩৬ হাজার মেট্রিক টন। বগুড়ায় চাহিদার বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও অন্য জেলায় চলে যাওয়াই আমদানির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে ৪৩০ হেক্টর জমিতে লাগানো কন্দ (বাল¡) পেঁয়াজ চাষ করে সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিক টন পাওয়া গেছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি চারা পেঁয়াজ চাষাবাদ হবে এবং মার্চে শেষ হবে। তখন পেঁয়াজের বাজারে সংকট থাকবে না। দামও
সহনীয় পর্যায়ে আসবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, কৃষকরা স্বল্প পরিমাণ পেঁয়াজের বীজ তৈরি করে থাকেন। ফুলকা রাখলে পেঁয়াজ বড় হয় না; তাই ফুলকা ভেঙে বাজারে বিক্রি করেন। পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় জনগণ বিকল্প হিসেবে তরকারিতে ফুলকা ব্যবহার করছেন। এতে কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন।
বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলার কৃষক আব্দুল মোত্তালিব, মহাস্থানের রাজু মণ্ডল, গোকুলের আফসার আলী, শাখারিয়ার আবদুর রহমান প্রমুখ জানান, তারা পেঁয়াজের সঙ্গে ফুলকা বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছেন। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ফুলকা ৪০
টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এ সময় পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা ও ফুলকা ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন।
বগুড়ার রাজাবাজারের আড়ৎদার আল্লাহরদানের মালিক আবদুর রহমান রুনু জানান, গত কয়েকদিন পেঁয়াজের বাজার অস্থির থাকলেও গত দু’দিন থেকে দাম কমতে শুরু করেছে। দু’দিন আগে নতুন দেশি পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও মঙ্গলবার ৯০ টাকা, তুরস্কের পেঁয়াজ ৮৫ টাকা থেকে কমে ৫০ টাকা, পাতা পেঁয়াজ ১০০ টাকা থেকে কমে ৭০ টাকা হয়েছে। তবে ফুলকা প্রতি কেজি ৪০ টাকা রয়েছে।