নিউজ ডেস্ক: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে জিংক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর জিংক…
শীতে চুলের ৫ সমস্যা ও সমাধান
নিউজ ডেস্ক:
শীতকালে বাইরে প্রচুর পরিমাণে ধুলোবালি থাকে। তাই অল্পেতেই চুলে ময়লা জমে। শীতে ত্বক সুন্দর রাখতে যেমন নানা রকম ফেস ক্রিম ব্যবহার করা হয় তেমনই চুলের যত্নেও কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার। সাধারণ শীত এলেই চুলে অতিরিক্ত খুসকি, রুক্ষ ও বিবর্ণ হয়ে যায় চুল।
* চুলে রুক্ষতা: শীতের প্রভাবে চুল বেশি রুক্ষ হয়ে উঠে। তাই অতিরিক্ত শ্যাম্পু বা চুল ব্লো ড্রাই করা থেকে বিরত থাকুন। সপ্তাহে একবার, খুব বেশি হলে দুবার শ্যাম্পু করুন। অন্যান্য দিনগুলোতে পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন আর চুলের ডগায় দিন কন্ডিশনার।
* খাড়া ও ফুলে থাকা চুল: শীতকালে চুলে স্ট্যাটিকেইলেকট্রিসিটির পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে চুল কিছুতেই সমানভাবে পেতে থাকতে চায় না। তাই শীতে হেয়ার স্প্রে নিয়ে আলতো করে চুল আঁচড়ে নিন। এর পর হাত দিয়ে আলতো করে হেয়ার সিরাম দিন। চুল মসৃণ হয়ে যাবে।
* ভেজা চুল: শীতে গরমের মতো দ্রুত শুকোতে চায় না ভেজা চুল। তাই যতদূর সম্ভব ড্রায়ার বা অন্যান্য হিটিং টু এড়িয়ে চলুন। কিন্তু চুল যদি বেশি ভেজা থাকে তাহলে বড় তোয়ালে দিয়ে ভেজা চুল প্রথমে চেপে বাড়তি জটলা শুষে নিন। কিন্তু তোয়ালে দিয়ে চুল ঘষবেন না, তাতে রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। এরপর তোয়ালেটা পাগড়ির মতো চুলে পেঁচিয়ে রাখুন। চুল ৮০ ভাগ শুকিয়ে গেলে সামান্য ড্রায়ার ব্যবহার করুন।
* চুলের রং: শীতের শুষ্কতায় চুলের রং বদলে যায়। কালো চুল ধুলোবালিতে লালচে দেখায়। কিন্তু শীতে চুল যেন দ্রুত হালকা হয়ে না যায় সেজন্য সদ্য রং করানোর দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে শ্যাম্পু করবেন না। তাতে চুলের কালো রং বজায় থাকবে।
* নিষ্প্রাণ চুল: শীতে শুষ্কতা আর রুক্ষতায় চুলে নির্জীব ভাব চলে আসে। চুলের গোড়া ফেটে যায়। এ সমস্যা সমাধানে ভল্যুমাইজি বা রুট-বুস্টিং হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করুন। ব্যস, চুল হয়ে যাবে কালো আর ঝলমলে।