সিটিসেলের পরিচালক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানসহ আট জনের বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলা করেছেন ওই কোম্পানির পাঁচ কর্মকর্তা। প্রায় দেড় কোটি টাকা মজুরি পাওনার অভিযোগে সোমবার ঢাকার প্রথম শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান বেগম তাবাসসুম ইসলামের আদালতে এ মামলাগুলো করেন তারা।

মামলাগুলো গ্রহণ করে আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।

মামলার অপর বিবাদীরা হলেন, প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের (সিটিসেল) সিইও মেহবুব চৌধুরি, মোরশেদ খানের স্ত্রী নাসরিন খান, পরিচালক আসগর করিম, চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার এবং প্রভিডেন্ড ফান্ড ট্রাস্টির সদস্য তারিকুল হাসান, সিটিও এবং প্রভিডেন্ড ফান্ড ট্রাস্টির সদস্য মাহফুজুর রহমান, প্রভিডেন্ড ফান্ড ট্রাস্টির সদস্য নিশাত আলী ও প্রভিডেন্ড ফান্ড ট্রাস্টির সদস্য এ বি সরকার।

মামলার বাদীরা হলেন, সিটিসেলের কর্মকর্তা টিপু সুলতান, কাজী রুহুল কুদ্দুস, হাসান মাহমুদ, মোসাদ্দেক মিলন ও এ কে এম এহসানউল আজাদ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার বাদীরা দীর্ঘ দিন ধরে সিটিসেল কোম্পানিতে চাকরি করে আসছেন। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তাদের যাবতীয় মজুরি কোনো কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দেয় সিটিসেল কর্তৃপক্ষ। দুই তিন মাস পর কর্তৃপক্ষকে মজুরির টাকা পরিশোধের কথা বলেন তারা। কর্তৃপক্ষ ডিসেম্বরের মধ্যে তা পরিশোধের জন্য আশ্বাস দেন।

গত মার্চে তাদের পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য সম্মিলিতভাবে সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি দেন। এরপরও টাকা না দেয়ায় ২০১৭ সালের ৩ মে সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন তারা।

মামলায় বাদীদের আইনগত সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে এম মোরশেদ খানসহ আট জনের বিরুদ্ধে আরো ২৫টি মামলা হবে।

Pearl IT
shahadat.hossen154@gmail.com

Would you like to share your thoughts?

Your email address will not be published. Required fields are marked *