নিউজ ডেস্ক:
২০১৭ সালে রোবটমানবী সোফিয়ার ‘জন্ম’ দিয়ে রীতিমতো তোলপাড় তুলেছিল হ্যানসন রোবটিকস। হংকংয়ের এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের তৈরি সোফিয়াকে দেখে, তার কথা শুনে অবাক হয়েছিল সবাই। সৌদি সরকার তো মুগ্ধ হয়ে নাগরিকত্বও দিয়েছিল সোফিয়াকে।

সেই হ্যানসন রোবটিকসই এবার নিয়ে এসেছে আরেক রোবটকে। হ্যানসন রোবটিকসের নতুন রোবটমানবী গ্রেস। তবে তার দক্ষতা আরো বেশি। ইংলিশ, ম্যানডারিন এবং ক্যান্টোনিজ- এ তিন ভাষায় কথা বলতে পারে সে। এশিয়ার দেশ হংকংয়ে তৈরি বলে গ্রেসের চেহারাও একেবারে এশীয়দের আদলের। নীল পোশাক পরা গ্রেসকে প্রায় কাঁধ পর্যন্ত নামা বাদামি চুলে খুব স্মার্ট দেখায়। করোনা সংকট শুরুর পর থেকে স্বাস্থকর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

মূলত তাদের সহায়তা করতেই হ্যানসন রোবটিকস নিয়ে এসেছে গ্রেসকে। করোনাকালে বয়স্ক এবং যারা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দি, তাদের সঙ্গে কথা বলে স্বাস্থ্যসেবা দেবে গ্রেস। আর্টিফিসিয়েল ইন্টেলিজেন্সের গুণে মানুষের সঙ্গে নির্দিষ্ট বিষয়ে অনায়াসে কথা বলতে পারে গ্রেস। তাছাড়া বুকে একটা থার্মাল ক্যামেরা ফিট করা আছে বলে রোগীর শরীরের তাপমাত্রা মেপে নিতেও কোনো অসুবিধা হয় না তার।

হ্যানসন রোবটিকস জানিয়েছে, আগামী বছরের মধ্যে হংকং, চীন, জাপান এবং কোরিয়ায় এ ধরনের রোবট উৎপাদন পুরোদমে শুরু করা হবে। খুব কমসংখ্যক বানানোয় আপাতত প্রতিটি রোবটের দাম একটি বিলাসবহুল গাড়ির মতো হলেও ভবিষ্যতে শত শত তৈরি শুরু হলে গ্রেসের দাম অনেক কমে যাবে বলে হ্যানসন রোবটিকসের ধারণা। সূত্র : ডয়চে ভেলে বাংলা

Pearl IT
shahadat.hossen154@gmail.com

Would you like to share your thoughts?

Your email address will not be published. Required fields are marked *