প্রযুক্তি ডেস্ক: দীর্ঘ ৩০ বছর পর পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ অতি নিকটে চলে আসতে যাচ্ছে। সেদিন চাঁদ প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পূর্ণভাবে ডুবে থাকবে অতল অন্ধকারে। সেদিনই হবে বিরল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ । আসছে ২৭শে সেপ্টেম্বরের ২০১৫ তারিখে বাংলাদেশের সময় সময় রাত ৭টা ৩৭ মিনিট থেকে ৯টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ চলবে।

এর আগে ২০০৯সালে পৃথিবীর আকাশে দেখা গিয়েছিল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু করে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত স্থায়ী হওয়া পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণটি ছিল শতাব্দীর প্রথম ও শেষ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। এবার ২০১৫ সালে আবার দেখা মিলতে যাচ্ছে পূর্নগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ও সুপার মুন।

নাসা সুত্র জানিয়েছে, আর ১২ দিন পর আকাশে আমরা যাকে দেখব, সেই ‘সুপার মুন’ দেখার সুযোগ আমরা পাই খুব কম। আর একই দিনে ‘সুপার মুন’ আর ‘পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ’ এর ঘটনাকে বিরলই বলা যায়। যা গত ৩০ বছরে ঘটেনি। এর আগে ২০১৪ সালের শেষ দিকে দেখা যাওয়া ‘সুপার মুন’ অপেক্ষা অধিকতর বড় ও বেশি উজ্জলতা বাড়বে ২৭শে সেপ্টেম্বরে দেখা যাওয়া সুপার মুন এর।

প্রথমে স্বাভাবিক থেকে একটু বড় আকৃতি ধারণ করে চন্দ্র পুর্বাকাশে উদীয়মান হলেও সাড়ে ৭টার দিকে ক্রমশ গ্রাস হতে শুরু করবে। এভাবে একসময় পূর্ণভাবে অন্ধকারের অতল গহ্বরে ঢেকে যাকে আকাশ।

গ্রহণ শেষ হওয়ার পর ছায়ার ‘আড়াল’ থেকে বেরিয়ে আসা চাঁদের উজ্জ্বলতা হবে নজরকাড়া। ৩০ শতাংশ বাড়বে উজ্জ্বলতা। ১৪ শতাংশ বেশি বড় দেখাবে শতাব্দীর প্রথম বৃহত্তম ‘সুপার মুন’ কে।

গত একশো বছরে আমরা এই সুযোগ পেয়েছিলাম মাত্র পাঁচ বার। বিংশ শতাব্দীতে ১৯১০, ১৯২৮, ১৯৪৬, ১৯৬৪ আর ১৯৮২ সালে দেখা মিলেছিলো ‘সুপার মুন’ ও ‘পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ’ একসাথে। পরবর্তীতে আবার ১৮ বছর পর ২০৩৩ সালে পৃথিবীর আকাশে দেখা যাবে।

চাঁদ কেন সব সময় এতটা ঝকঝকে হয়ে আসে না আমাদের কাছে? কারণ, পৃথিবীকে তার উপগ্রহটি চক্কর মারে একটা ডিমের মতো পথে। চারপাশে ঘুরতে-ঘুরতে কখনও চাঁদ আসে আমাদের কাছে। কখনও দূরে চলে যায়। ২৭ সেপ্টেম্বর আসবে আমাদের সবচেয়ে কাছে, যাকে বলে ‘পেরিজি’।

তবে ঢাকা থেকে দেখতে পাওয়া পাবে না এই বিরল ঘটনা! দেখা যাবে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়ায়। তথাপী, সে রাতে বাংলাদেশের আকাশের চাঁদ প্রায় দুই শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

Pearl IT
shahadat.hossen154@gmail.com

Would you like to share your thoughts?

Your email address will not be published. Required fields are marked *