নিউজ ডেস্ক:
চলতি বছর আন্তর্জাতিক জেমস ডাইসন পুরস্কার পেয়েছে বাড়িতেই স্তন ক্যান্সার পরীক্ষার কিট। বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, ব্লু বক্স নামের এই কিটটি নকশা করেছেন স্পেনের ২৩ বছর বয়সী তরুণী জুদিত হিরো বেনেত। ৩০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড অর্থ পুরস্কার পাবেন তিনি।

স্থায়িত্ব বিভাগে দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে বর্জ্য শস্যকে কাজে লাগিয়ে ইউভি রশ্মিকে নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরের প্রযুক্তি।

তরুণ প্রকৌশলীদেরকে উদ্ভাবনে সহায়তা করে বার্ষিক ডাইসন পুরস্কার। মায়ের স্তন ক্যান্সার পরীক্ষা থেকেই কিটের ধারণা পেয়েছেন বেনেত। তখনই তিনি বুঝতে পেরেছেন এই রোগের জন্য আরও সহজলভ্য কোনো পরীক্ষা ব্যবস্থা থাকা দরকার। এই পরীক্ষার জন্য নারীদেরকে হাসপাতাল বা মেডিক্যালে যেতে হয় এবং এমন কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়তে হয় যা অনেকের জন্যই অস্বস্তিকর এবং খরুচে।

ফলে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ নারী নিয়মিত ম্যামোগ্রাম এড়িয়ে যান। এতে তিনজনের মধ্যে একজনের ক্যান্সার শনাক্ত হয় দেরীতে, শেষ পর্যন্ত যাদের বাঁচার সুযোগ কমে যায়। বেনেতের পরীক্ষার ডিভাইসটি মূত্রের নমুনা বিশ্লেষণ করে এবং তার ফলাফল পরীক্ষার জন্য পাঠায়। এআই-ভিত্তিক অ্যালগরিদম ব্যবহারকারীকে দ্রুত পরীক্ষার ফলাফল দেয়।

ডিভাইসটি একটি অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত থাকে, যা শনাক্ত রোগীকে একজন পেশাদার চিকিৎসকের যোগাযোগে রাখেন। সামনের কয়েক বছরে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া আরভাইনে প্রোটোটাইপ এবং ডেটা বিশ্লেষক সফটওয়্যার বানাবেন বেনেত এবং তার দল। ভোক্তা পণ্য হওয়ার থেকে এখনও কিছুটা দূরে বেনেতের ডিভাইস। খুচরা বাজারে আসার আগে জটিল পরীক্ষা এবং অনুমোদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে ডিভাইসটিকে।

বেনেত বলেছেন, “ক্যান্সার পরীক্ষাকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ বানানোর সম্ভাবনা রয়েছে ব্লু বক্সের। সমাজ যেভাবে স্তন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তার পথ বদলাতে সহায়ক হতে পারে ডিভাইসটি।”

পুরস্কারটির প্রবর্তক স্যার জেমস ডাইসন মন্তব্য করেছেন, “দূর্ভাগ্যজনকভাবে আমি ক্যান্সারের বিভৎস প্রভাব দেখেছি এবং বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী হিসেবে এই মর্মান্তিক রোগ কাটিয়ে উঠতে আমাদের সাধ্যমতো সব কিছু করা উচিত।”

Pearl IT
shahadat.hossen154@gmail.com

Would you like to share your thoughts?

Your email address will not be published. Required fields are marked *