নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কন্টেন্ট প্রকাশের আগে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতিকদের কিছু নিয়ম থেকে যে ছাড় দিয়ে আসছিল তা বন্ধ করতে যাচ্ছে।

ফেসবুকের স্বাধীন পর্যালোচনা পর্ষদ ওভারসাইট বোর্ড কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার বিষয়ে যখন রায় দিয়েছিল, তখন তারা বেশকিছু সুপারিশও দিয়েছিল। সেগুলোর ভিত্তিতেই এ পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। খবর দ্য ভার্জ।

নীতিমালা ভঙ্গকারী রাজনীতিক এবং বিশ্বনেতাদের কন্টেন্টের ওপর নজরদারি করা নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যথেষ্টই ভুগতে হয়েছে প্রযুক্তি প্লাটফর্মগুলোকে।

সম্প্রতি ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার বিষয়ে ফেসবুকের সিদ্ধান্ত যাচাই-বাছাই করে প্রতিষ্ঠানের স্বাধীন পর্যালোচনা পর্ষদ তাতে সমর্থন দিয়েছে। তবে অনির্দিষ্টকালের জন্য অ্যাকাউন্টটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না বলে তারা মত দেয়। একই সঙ্গে তারা কিছু সুপারিশও করেছে, যা অবশ্য পালনীয় নয়। তবে ফেসবুক শিগগিরই এসব সুপারিশের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে পারে।

সুপারিশে বলা হয়, একই ধরনের নিয়ম সব ব্যবহারকারীর জন্য প্রযোজ্য হওয়া উচিত। তবে সর্বনাশ ঘটানোর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষমতা যে বেশি থাকে, সেটাও তারা উল্লেখ করেছেন। ফেসবুকের শীর্ষ নির্বাহী (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, রাজনীতিকদের বক্তব্যে নজরদারি চালানো উচিত না। ফেসবুক রাজনীতিকদের পোস্ট ও বিজ্ঞাপনকে তাদের তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্ট-চেক কর্মসূচি থেকে অব্যাহতি দিয়ে রেখেছে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ‘সংবাদ যোগ্যতা বিষয়ক ছাড়’ নীতির আওতায়ও রাজনীতিকরা নীতি ভঙ্গকারী পোস্ট দিতে পারেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তার ক্ষতির দিকটি জনস্বার্থকে ছাড়িয়ে না যায়। তবে ট্রাম্প এ ছাড় পায়নি।

ফেসবুকে ‘উল্লেখযোগ্য ক্ষতি’ প্রতিরোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে ‘সংবাদযোগ্যতা’ নীতির বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়ার সুযোগ থাকা উচিত না বলেও পর্ষদের সুপারিশে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে সংবাদ যোগ্যতার নিরিখে কোনো কন্টেন্ট মুছে ফেলা যাবে না অথবা একটি প্রভাবশালী অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে কখন পদক্ষেপ নেয়া যাবে, সেসব বিষয়ে আরো স্পষ্টভাবে ব্যবহারকারীদের জানানোর ব্যবস্থা রাখা উচিত।

ফেসবুকের ওভারসাইট বোর্ড ট্রাম্পের বিষয়টিতে একটি ‘যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া’র সিদ্ধান্ত নিতে ফেসবুককে ছয় মাস সময় দিয়েছে। ট্রাম্প নিজের অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতে পারেন, অথবা তা পুরোপুরি আটকে দেয়া হতে পারে। অবশ্য এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি ফেসবুক।

Pearl IT
shahadat.hossen154@gmail.com

Would you like to share your thoughts?

Your email address will not be published. Required fields are marked *