ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম ইউটিউবে আপত্তিকর কমেন্টকারীদের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নেবে প্রতিষ্ঠানটি। কুরুচিকর মন্তব্য করলেই সতর্কবার্তা…
অনলাইনে প্রতারণামূলক উচ্চ সুদের ঋণদান কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করুন: টিক্যাব
নিউজ ডেস্ক:
অনলাইনে অ্যাপস ব্যবহার করে র্যাপিড ক্যাশ, টাকাওয়ালা, স্বাধীন, ক্যাশ ক্যাশ, ক্যাশম্যান সহ বিভিন্ন প্রতারক চক্রের অবৈধ, উচ্চ সুদ হারের ঋণ বিতরণ কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)।
শনিবার টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব) এর আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি জানায় সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে টিক্যাব জানায়, “অনলাইনে ঋণ বিতরণের এ কার্যক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন অনুমোদন নেই, অনুমতি নেই সরকারের অন্যকোন দপ্তরের। তারপরও দিনের পর দিন বিনা বাধায় প্রতারক চক্রগুলো গ্রাহকদের ঠকিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্ল্যাটফর্ম ভেদে ১ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছে তারা। ঋণ দেয়ার শর্ত স্বরূপ গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, এনআইডি কার্ড, ছবি, পেশাসহ বিভিন্ন ধরণের ব্যক্তিগত তথ্য নেয়া হলেও দেয়া হচ্ছে না ঋণদাতার কোন তথ্য। ২ হাজার টাকা ঋণ নিলে গ্রাহক পাচ্ছে ১৬৮৫ টাকা। নানা অজুহাতে কেটে নেয়া হচ্ছে ৩১৫ টাকা। বলা হচ্ছে অ্যাপ্লিকেশন ফি বাবদ ১২০ টাকা, ডাটা অ্যানালাইসিস ফি ১৮০ টাকা, মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ১৫ টাকা এবং সুদ বাবদ ৫ টাকা কেটে রাখা হয়। অর্থাৎ ২০০০ টাকা ঋণের বিপরীতে ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হচ্ছে ২০০৫ টাকা। তবে, পরিমাণ যতো বেশি হয় টাকা কেটে রাখার প্রবণতাও তত বেশি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে প্রতিদিন ১২০ টাকা হারে চক্রবৃদ্ধিতে বাড়ছে সুদ। বিকাশ, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করে এ ঋণ কার্যক্রম চালাচ্ছে তারা। বেশির ভাগ প্লাটফর্মেরই কোন অফিসের ঠিকানা নেই, অনেকের থাকলেও সে সব ভুয়া। গ্রাহদের হাজারো অভিযোগ থাকলেও অবৈধ ভাবে ঋণদানের এসব কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা অবিলম্বে এসকল প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি গ্রাহদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
এ সময় টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব) এর পক্ষ থেকে গ্রাহক স্বার্থ সুরক্ষায় ৫ দফা দাবি পেশ করা হয়-
১) অবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনহীন অনলাইনে ঋণ দেয়ার এ ধরণের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
২) বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের মাধ্যমে তারা যাতে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩) এসব অ্যাপস ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে নির্বিঘেœ তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)’র মাধ্যমে এ প্রচারণা ও তাদের অ্যাপস বন্ধ করতে হবে।
৪) প্রতারক চক্র যাতে হাতিয়ে নেয়া গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের অপপ্রয়োগ করতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫) উচ্চ সুদে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া বাড়তি অর্থ গ্রাহকদের ফেরত প্রদান করতে হবে এবং অবিলম্বে এই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
This Post Has 0 Comments