skip to Main Content
01757-856855, 01521-464854, 01752-684000 contact@pearlit.net Open 7AM - 8PM

ইভ্যালির প্রধান কার্যালয়ে তালা, সাড়া নেই হটলাইনেও!

নিউজ ডেস্ক:
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন গ্রাহক ও বিক্রেতারা। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ। হটলাইনে ফোন করেও সাড়া মিলছে না। তাই পণ্য সরবরাহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পাওনা নিয়ে এবং ক্রেতারা পণ্যের প্রাপ্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, দেনা শোধ না করেই যুবক, ইউনিপের মতো ইভ্যালিও বন্ধ হতে পারে।

এদিকে ইভ্যালির ফেইসবুক পেইজে ক্রেতা ও বিক্রেতারা নানা অভিযোগের কথা বলছেন। কিন্তু এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলকে পাওয়া যাচ্ছে না। গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম এবং মার্চেন্টের পাওনা ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা ‘আত্মসাৎ ও পাচারের’ অভিযোগে ইতোমধ্যে ইভ্যালির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এর অংশ হিসেবে রাসেল ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর এক/দুই মাসের আগাম সময় নিয়ে প্রায় অর্ধেক মূল্যে পণ্য সরবরাহের বিভিন্ন ‘অফার’ দেওয়া শুরু করেছিল ইভ্যালি। তাতে অল্প সময়ের মধ্যে সারাদেশে মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, এসি, প্রাইভেটকারসহ নানা পণ্যের ক্রেতাদের সমারোহ ঘটেছিল ইভ্যালিতে।
স্বল্প মূল্যের এসব পণ্যের জন্য টাকা নেওয়া হতো অগ্রিম। কিন্তু কিছু ক্রেতাকে পণ্য দিয়ে বাকিদেরকে অপেক্ষায় রাখার কৌশল নিয়ে তারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল বলে পরে অভিযোগ উঠতে শুরু করে।

এসব অনিয়ম নিয়ে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে নানা কথা উঠলেও কোনো ব্যবস্থা তখন নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে আইন ও নীতিমালা ‘না থাকার’ কথা বলা হচ্ছিল সে সময়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ইভ্যালির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিলে কোম্পানির গাড্ডায় পড়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

সেখানে বলা হয়, গত ১৪ মার্চ ইভ্যালি ডটকমের মোট সম্পদ ছিল ৯১ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার ৮৪৬ টাকা (চলতি সম্পদ ৬৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৬ টাকা) এবং মোট দায় ছিল ৪০৭ কোটি ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৪ টাকা।

এর মধ্যে গ্রাহকের কাছে ইভ্যালির দায় ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৫৬০ টাকা এবং মার্চেন্টের কাছে দায় ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৪ টাকা। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর ইভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুদককে অনুরোধ করা হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

চলতি মাসের শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক নীতিমালায় বলা হয়, অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোকে পণ্যের অর্ডার নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা সরবরাহ করতে হবে এবং ১০ শতাংশের বেশি অগ্রিম টাকা না নেওয়া যাবে না।

এদিকে গ্রাহকের অসংখ্য অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইভ্যালির কাছে এসবের জবাব চেয়ে চিঠি দিয়েছে ই কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ই-ক্যাব। বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রি ডাকে পাঠানো ওই চিঠির উত্তর চাওয়া হয়েছে সাত দিনের মধ্যে। কয়েকটি ব্যাংক তাদের কার্ডের মাধ্যমে ইভ্যালি থেকে পণ্য কেনার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল। এখন পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও (মার্চেন্ট) ইভ্যালির সঙ্গে ব্যবসা বন্ধের জানাতে শুরু করেছে।

শুক্রবার ধানমন্ডিতে ইভ্যালির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতাদের কেউ কেউ সেখানে হাজির হচ্ছেন তাদের অগ্রিম দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য। পণ্য সরবরাহকারী বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরাও ঘুরে যাচ্ছেন। কিন্তু ইভ্যালির অফিস তালাবন্ধ। বিকালে ইভ্যালি অফিসে খোঁজ নিতে আসেন একজন গ্রাহক, যিনি নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি।

রিসেপশনে থেকে ফিরে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, “আমি ওয়ানপ্লাস ব্র্যান্ডের একটি ৩৪ হাজার টাকা দামের মোবাইল ১৭ হাজার টাকায় বুকিং দিয়েছিলাম। পাশাপাশি দুটো দামি ঘড়ি বুকিং দিয়েছিলাম। কিন্তু আজ চার মাসেও ডেলিভারি পাইনি। অফিস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শুনে খবর নিতে আসলাম। এখন দেখি আসলেই অফিসে কেউ নেই, তালা মারা।”

ইভ্যালি অফিসের সামনে চা বিক্রেতা মানিক জানান, লকডাউন ঘোষণার তিন দিন আগে থেকে ওই অফিস বন্ধ। তার আগে সব সময় ইভ্যালি অফিস খোলা থাকতে দেখেছেন তিনি।

ভবনের নিচে দায়িত্বরত একজন নিরাপত্তাকর্মী জানালেন, কঠোর লকডাউন শুরুর আগে গত ২৭ জুন থেকে অফিস বন্ধ রেখেছে ইভ্যালি। ঈদের আগে আর খোলার সম্ভাবনাও নেই।

অফিসের সামনে টানানো একটি নোটিসে লেখা দেখা যায়, ‘মহামারী পরিস্থিতির কারণে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোম অফিস চালু আছে। ফলে এই অফিস থেকে সশরীরে কোনো সেবা দেওয়া হবে না।”

একই ধরনের একটি নোটিস শুক্রবার দুপুরে ইভ্যালির ফেইসবুক পেইজেও দেখা যায়।

এসব বিষয়ে কথা বলতে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের দুটি নম্বরে ফোন করে বন্ধ পাওয়া যায়। আর ওয়েবসাইটে দেওয়া হটলাইনে ফোন করা হলে স্বয়ংক্রিয় কণ্ঠ বাজতে শোনা যায়, কিন্তু প্রতিনিধিদের কেউ ফোন ধরছেন না। সূত্র : বিডিনিউজ।

Shahadat Hossen

Shahadat Hossen

Hello! I’m Md. Shahadat Hossen. I'm a Journalist, Web Designer, Entrepreneur, Founder at Tech Express & Pearl IT Limited. I started journalism from 2012. In the 2018, started Web Development Company Pearl IT. As a Journalist i Work Bangladeshi popular and oldest online news portal Bangladesherpatro.com. He was worked Dainik Desherpatro, The Dhaka Daily.

This Post Has 0 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *