অটোমোবাইল ডেস্ক: চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন মডেলের গাড়ি আনতে যাচ্ছে মারুতি সুজুকি। হ্যাচব্যাক সেলেরিওর নতুন…
হিরো মোটরসাইকেলের ১০ বছর পূর্তিতে ১০ হাজার টাকা মূল্যছাড়
একক পথচলার ১০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত মূল্যছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিরো। আগামী ৯ আগস্ট পর্যন্ত যেকোনো হিরো মোটরসাইকেল কিনলেই ক্রেতারা এ মূল্যছাড় পাবেন।
প্রথমে ১৯৮৪ সালে যৌথভাবে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তী ২০১১ সালে এককভাবে হিরো মোটরসাইকেল নামে মোটরসাইকেল বাজারজাত শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
বিরামহীন সাফল্যের সুদীর্ঘ ১০ বছরের পথচলায় ভালোবাসা ও সহযোগিতা দিয়ে হিরো পরিবারের পাশে থাকায় ক্রেতাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বের বৃহত্তম মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হিরো বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের জন্য প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত মোটরসাইকেল এবং স্কুটার ডিজাইন ও বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে। আর জ্বালানী সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য বাহন হিসেবে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের স্বীকৃতি পেয়েছে হিরো। প্রতিষ্ঠানটির এক দশকের পথচলায় ১০০ মিলিয়নেরও বেশি বাইক বিক্রি করে মোটরসাইকেল বাজারে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে।
এতে আরও বলা হয়, হিরোর গবেষণা ও বিকাশের গ্লোবাল হাব সেন্টার অব ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি (সিআইটি) উত্তর ভারতের জয়পুরে অবস্থিত। রেসিং ট্র্যাকসহ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ টু-হুইলারের গবেষণা সেন্টারটিতে পণ্যের নকশা, পরীক্ষা এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে ৭০০’র বেশি প্রকৌশলী নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটিতে আরও জানানো হয়, বিশ্বমানের অত্যাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন পরিবেশবান্ধব হিরোর ৮টি গ্রিন ফ্যাক্টরি রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি ভারতে, একটি কলম্বিয়াতে এবং আরেকটি বাংলাদেশে। অল্প সময়ের মধ্যে এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও মধ্য আমেরিকার মোট ৩৭টি দেশে পণ্য সরবরাহের সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলে উপস্থিতি বাড়াতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে হিরো।
মূল দর্শন ‘বি দ্য ফিউচার অব মোবিলিটি’-কে লক্ষ্যে রেখে বিশ্বব্যাপী ৯ হাজারেরও বেশি টাচপয়েন্ট-এর বিশাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছে হিরো। পণ্য বিক্রয় ও সে সঙ্গে বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশে ৫০০টিরও বেশি টাচপয়েন্ট রয়েছে।
হিরো তার দীর্ঘ ১০ বছরের পথচলায় সিএসআর ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বেশ কিছু ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জন করেছে। এসব কার্যক্রমের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো- ‘রাইড সেফ’ প্রোগ্রাম, ‘হ্যাপি আর্থ’ প্রোগ্রামসহ খেলাধুলার বিভিন্ন লিগের স্পন্সর করা। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৪বার বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ‘ডাকার র্যালি’ সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে এবং মোটোস্পোর্টস টিম র্যালি-তে অংশগ্রহণ করেছে।
This Post Has 0 Comments