তরুণদের প্রত্যাশাকে প্রাধান্য দিয়ে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা ভিভো উদ্ভাবনে নজর দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এবার…
২০২১ সালে রেকর্ড স্মার্টফোন বিক্রির পথে ভারত
চলতি বছর রেকর্ড ১৭ কোটি ৩০ লাখ স্মার্টফোন বিক্রি হতে যাচ্ছে ভারতে। চীনের পর সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বাজারটিতে স্মার্টফোন বিক্রি প্রবৃদ্ধি হতে পারে বছরওয়ারি ১৪ শতাংশ। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের ‘ইন্ডিয়া কোয়ার্টারলি আউটলুক’ প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়।
২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ভারতের বাজারে ১০ কোটি স্মার্টফোন বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। গত জুনে করোনা-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় দেশটিতে স্মার্টফোনের চাহিদা চাঙ্গা হয়েছে। আগস্ট থেকে নভেম্বরের উৎস মৌসুমে দেশটিতে স্মার্টফোনের চাহিদা বাড়বে।
পাঁচ বছর ধরেই ভারতের স্মার্টফোন বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। ২০১৯ সালে রেকর্ড ১৫ কোটি ৮০ লাখ স্মার্টফোন বিক্রি হয় এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটিতে। তবে গত বছর করোনার ভয়াবহতায় স্মার্টফোন বিক্রি ২০১৯ সালের তুলনায় ৪ শতাংশ কমে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সত্ত্বেও স্মার্টফোন বাজারে চাঙ্গা ভাব দেখা যায়। এমনকি ২০২১ সালের প্রথমার্ধে রেকর্ড সর্বোচ্চ স্মার্টফোন বিক্রি হয়।
কভিড সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকায় এবং ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চলায় দ্বিতীয়ার্ধে ভোক্তা আস্থা বাড়িয়েছে। এছাড়া পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ডিজিটাল নির্ভরতা বেড়েছে, যা স্মার্টফোন বিক্রিতে ভূমিকা রাখছে। গত বছরের তুলনায় লকডাউন শিথিল থাকায় দ্বিতীয়ার্ধে স্মার্টফোন বিক্রির রেকর্ড হতে পারে, যা বার্ষিক বিক্রির নতুন রেকর্ড গড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে রিলায়েন্স জিওর সাশ্রয়ী ফোন বাজারে আনা। সেপ্টেম্বরেই জিওফোন নেক্সট নামে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন আনছে ভারতীয় প্রযুক্তি জায়ান্টটি। এ ফোনটি বাজারে এলে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ফিচার ফোন ব্যবহারকারী স্মার্টফোনে ঝুঁকবে।
স্মার্টফোনের জন্য ভারত বেশ সম্ভাবনাময়। কারণ এরই মধ্যে দেশটিতে ৩২ কোটি মানুষ ফিচার ফোন ব্যবহার করছে, যাদের সহজেই স্মার্টফোনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। জিওফোন নেক্সটের দাম ৭৫ ডলারের নিচে থাকছে। যদি এ সাশ্রয়ী স্মার্টফোন বাজারে কাঙ্ক্ষিত সাড়া ফেলে, তাহলে ভারতের বাজারে উচ্চ প্রবৃদ্ধির দেখা মিলবে।
ভারতের বাজারে স্মার্টফোন বিক্রিতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হতে পারে ফাইভজি সম্প্রসারণ। ২০২০ সালে ভারতের বাজারে ফাইভজি স্মার্টফোনের অংশগ্রহণ ছিল বাজারের মাত্র ৩ শতাংশ। কিন্তু ২০২১ সালে ফাইভজি স্মার্টফোনের বাজার আটগুণ বেড়ে দাঁড়াবে ৩ কোটি ২০ লাখ ইউনিটে। স্মার্টফোন বাজারের ১৯ শতাংশ শেয়ার থাকবে ফাইভজি স্মার্টফোনের। গত ১২ মাসে এন্ট্রি লেভেলের স্মার্টফোন ডিভাইসের দাম ৪০ শতাংশ কমেছে। ভারতের বাজারে সবচেয়ে সাশ্রয়ী ফাইভজি স্মার্টফোনের দাম পড়ছে ১৫ হাজার রুপি বা ২০০ ডলার। ক্রেতাসাধারণের মধ্যেও ফাইভজি নিয়ে সচেতনতা ও আগ্রহ বেড়েছে। জরিপে দেখা গেছে, পরবর্তী স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে ২১ শতাংশ গ্রাহকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তিন অগ্রাধিকারের একটি হচ্ছে ফাইভজি।
চলতি বছরের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদেও ভারতের স্মার্টফোন বাজার বেশ সম্ভাবনাময়। ২০২০ সালে উত্তর আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকার বাজারের চেয়ে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে ভারতের বাজার। ১৩৯ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বার্ষিক স্মার্টফোন বিক্রি ২০ কোটি ইউনিট ছাড়িয়ে যাবে।
This Post Has 0 Comments