নিজস্ব প্রতিবেদক, টেক এক্সপ্রেস:
‘অত্যাধুনিক রাডার ক্রয়’ সংক্রান্ত চুক্তির অনুমোদন অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই চুক্তি এয়ার ফ্রান্স ও বাংলাদেশ বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত হবে বলে জানা যায়।

এই চুক্তির আওতায় ফ্রান্সের কাছ থেকে অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেম কেনা হবে, যা দিয়ে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রমকারী সব উড়োজাহাজকে শনাক্ত করা যাবে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিমান চলাচল সম্পর্কিত কারিগরি সহায়তা ও তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ফ্রান্সের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন এবং বেবিচকের মধ্যে ওই চুক্তি স্বাক্ষরের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ অনুমোদনের কথা জানান।

তিনি বলেন, এটার ফলে বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ডস ও রেকমান্ডেড প্র্যাকটিস বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স একসঙ্গে কাজ করবে। এতে করে আমরা এয়ার নেভিগেশনে সুবিধা পাব। বেসামরিক বিমানের উড্ডয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ পরিকল্পনা আরো উন্নত হবে। এয়ারপোর্টের ব্যবস্থাপনা আরো উন্নত হবে। বেসামরিক বিমানের সুরক্ষিত উড্ডয়নের বিষয়গুলোও তারা (ফ্রান্স) দেখবে।

তিনি আরো বলেন, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে হবে। উভয় দেশ পরস্পরের নিরীক্ষা প্রতিবেদন দেখবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারিগরি জ্ঞান বাড়াতে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা বাড়ানো হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের নতুন একটা রাডার সিস্টেম তারা দিচ্ছে, সেই রাডার সিস্টেম দেয়ার ফলে বাংলাদেশের টেরিটরি দিয়ে যত প্লেন যাবে সবই আমাদের রাডারের মধ্যে চলে আসবে এবং সবাইকে একটা নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে। আমাদের রাডার সিস্টেম দিয়ে সব প্লেনকে কাভার করতে পারি না।

চুক্তি অনুযায়ী এয়ার ফ্রান্স জিটুজি ভিত্তিতে রাডার সিস্টেম দেবে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, তখন প্রত্যেকটা প্লেনের জন্য মিনিমাম ৫০০ ডলার করে ফি আমাদের দিতে হবে। আমরাও যেসব দেশের এরিয়ার মধ্য দিয়ে যাই তাদের একটা ফি দিতে হয়।

Pearl IT
shahadat.hossen154@gmail.com

Would you like to share your thoughts?

Your email address will not be published. Required fields are marked *