ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম ইউটিউবে আপত্তিকর কমেন্টকারীদের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নেবে প্রতিষ্ঠানটি। কুরুচিকর মন্তব্য করলেই সতর্কবার্তা…
প্রায় ১০ মিলিয়ন ছবির তথ্য ডিলিট করলো মাইক্রোসফট
নিউজবিডি ডেস্ক:
মাইক্রোসফট প্রায় ১০ মিলিয়ন ছবির ডাটাবেজ বা তথ্য মুছে ফেলেছে। এই তথ্যভাণ্ডার মুখচ্ছবি শনাক্ত করা বা ফেসিয়াল রিকগনিশনের কাজে ব্যবহার করা হতো, এমনটিই জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস। এই ডাটাবেজটি প্রকাশ করা হয় ২০১৬ সালে। ১ লাখ সুপরিচিত মানুষের অনলাইন ছবি দিয়ে সেটি তৈরি করা হয়েছিল।
পুলিশ এবং সেনাবাহিনী তাদের কাজে এই তথ্যভাণ্ডারটি ব্যবহার করতো বলে ধারণা করা হয়। মাইক্রোসফটকে মার্কিন রাজনীতিবিদরা শনাক্তকরণের জন্যে আরো ভালো কোন ব্যবস্থা সৃষ্টি করার কথা জানালে এই তথ্য মুছে ফেলার কাজটি করা হয়।
মাইক্রোসফট ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বলেছে যে, এই তথ্যভাণ্ডার বা ডাটাবেজটি এখন আর একেবারেই পাওয়া সম্ভব নয়, কেননা যে ব্যক্তি এইসব ছবি যুক্ত করতেন তিনি চাকরি ছেড়েই চলে গেছেন।
গত বছর মাইক্রোসফটের প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড স্মিথ মার্কিন কংগ্রেসকে এই মুখচ্ছবি বা চেহারা শনাক্তকরণের কাজের দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কেননা তাদের ভাষ্য অনুযায়ী এটির মাধ্যমে ‘ব্যাপক সামাজিক জটিলতা ও অপব্যবহারের আশঙ্কা ছিল’।
সাম্প্রতিক সময়ে ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশ কর্তৃপক্ষের একটি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিল মাইক্রোসফট। তারা শরীরের সাথে লাগানো ক্যামেরা এবং গাড়িতে এই চেহারা শনাক্তের ব্যবস্থা করতে বলেছিল।
ছবির বিশাল ভাণ্ডার যা এমএসসেলিব ডাটাবেজ নামে পরিচিত তা তৈরি করা হয়েছিল অনলাইনে পাওয়া সেলিব্রেটি বা তারকাদের চিত্র সংগ্রহের মাধ্যমে।
আর বলা হয় যে, মেগাপিক্সেল প্রোজেক্ট অর্থাৎ মুখচ্ছবি বা চেহারার তথ্যভাণ্ডারটি মূলত তৈরি হয়েছিল মার্কিন ও ব্রিটিশ অভিনয় শিল্পীদের ছবি দিয়ে। তবে এই প্রকল্পে সেইসব মানুষের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল ‘যাদের পেশাগত কারণে অনলাইনে উপস্থিতি রয়েছে’।
এর মানে হলো, সেখানে সাংবাদিক, শিল্পী, সংগীত জগতের মানুষ, একটিভিস্ট, নীতিনির্ধারক, লেখক এবং গবেষকরাও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
যদিও তথ্যগুলো এখন আর মাইক্রোসফটের কাছ থেকে পাওয়া যাবে না, তবে হয়তো তথ্যগুলো এরই মধ্যে কেউ না কেউ ডাউনলোড করে নিয়েছেন।
মেগাপিক্সেল এর অ্যাডাম হার্ভি বলেন যে, “আপনি কোন তথ্যকে আসলে অদৃশ্য করতে পারবেন না। একবার যদি আপনি কিছু অনলাইনে পোস্ট করেন এবং মানুষ যদি সেটা ডাউনলোড করে, তাহলে পুরো পৃথিবী জুড়েই হার্ড ড্রাইভে সেটি থেকে যেতে পারে।”
এর আগে যুক্তরাজ্যের পুলিশ তাদের নিজস্ব চেহারা শনাক্তকরণ পদ্ধতির জন্যে সমালোচিত হয়। মানুষ চিনতে সেটি খুব বেশি সক্ষম হয়নি বলেই প্রমাণিত হয়।