skip to Main Content
01757-856855, 01521-464854, 01752-684000 contact@pearlit.net Open 7AM - 8PM

প্রযুক্তির আওতায় আসছে আদালত

নিউজবিডি ডেস্ক:
ই-জুডিশিয়ারি কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের সব আদালতকে নেটওয়ার্কের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ তথ্য জানান।

অসুস্থ থাকায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী এই বক্তব্য পড়েন। এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে আইন মন্ত্রণালয় তথা বিচার বিভাগের। গত অর্থবছরে আইন ও বিচার বিভাগে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৫২২ কোটি টাকা।

পরে সংশোধন করে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। তবে ২০১৯-২০ এর প্রস্তাবিত বাজেটে ১ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সংশোধিত চলতি অর্থবছরের (২০১৮-১৯) বাজেটের চেয়ে ৭৪ কোটি টাকা বেশি।

প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনায় দেখা যায়, দরিদ্র অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা দেয়া, ৬৪ জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন ও সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন ১২ তলা ভবন নির্মাণ ও বার কাউন্সিলর ভবন নির্মাণ, অধস্তন আদালতের রেকর্ড রুম নির্মাণ, সাবরেজিস্ট্রি অফিস নির্মাণ, ডিজিটাইজড ব্যবস্থাপনা সুবিধা এবং অধস্তন আদালতের বিচারকদের গাড়ি সুবিধা বাড়ানোর বিষয় অগ্রাধিকার পেয়েছে।

বিচার ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির ডিজিটাইজেশন : বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, মামলা ব্যবস্থাপনায় আরও গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে ই-জুডিশিয়ারি কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের সব আদালতকে আইসিটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধের দ্রুত ও কার্যকর বিচার নিশ্চিত করার জন্য ঢাকায় একটি সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। ৭টি বিভাগীয় শহরে আরও ৭টি সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।

আপিল বিভাগের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আপিল বিভাগে ৪টি এবং হাইকোর্ট বিভাগে ৩০টি এজলাসসহ চেম্বার নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে। সুপ্রিমকোর্টসহ অধস্তন আদালতগুলোর সব কার্যক্রমকে অটোমেশন এবং নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। অধস্তন আদালতগুলোর বিচারাধীন মামলার বর্তমান অবস্থা, শুনানির তারিখ, ফলাফল এবং পূর্ণাঙ্গ রায় নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

বন্ধ হলে দুর্নীতি, উন্নয়নে আসবে গতি : ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দুর্নীতি দমন কমিশনে ১৪০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থবছরে দুর্নীতি দমন কমিশনে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১১৭ কোটি টাকা। পরে সংশোধন করে ব্যয় ধরা হয় ১২৩ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় দুর্নীতি দমন কমিশন সম্পর্কে বলা হয়, বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভাগীয় কার্যালয় ৬টি থেকে ৮টিতে এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয় ২২টি থেকে ৩৬টি উন্নীত করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে গোয়েন্দা ইউনিট করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ থেকে এক প্লাটুন সশস্ত্র পুলিশ দুর্নীতি দমন কমিশনে সংযুক্ত করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রাপ্ত দুর্নীতির অভিযোগ থেকে শুরু করে তদন্ত ও মামলা পরিচালনা সংক্রান্ত কাজ যথাযথভাবে পরিবীক্ষণের জন্য একটি ওয়েবভিত্তিক সফটওয়্যার তৈরি করা হবে। এটি ব্যবহার করার জন্য ২শ’ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

Shahadat Hossen

Shahadat Hossen

Hello! I’m Md. Shahadat Hossen. I'm a Journalist, Web Designer, Entrepreneur, Founder at Tech Express & Pearl IT Limited. I started journalism from 2012. In the 2018, started Web Development Company Pearl IT. As a Journalist i Work Bangladeshi popular and oldest online news portal Bangladesherpatro.com. He was worked Dainik Desherpatro, The Dhaka Daily.