skip to Main Content
01757-856855, 01521-464854, 01752-684000 contact@pearlit.net Open 7AM - 8PM

দেশে অটোমোবাইল কারখানা স্থাপনের চিন্তা করছে জাপান

নিউজ ডেস্ক:
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বাণিজ্যমন্ত্রীকে জানান, জাপান বাংলাদেশে অটোমোবাইল কারখানা স্থাপনের চিন্তা করছে। বাংলাদেশের আড়াইহাজার স্পেশাল ইকোনমিক জোনে জাপান বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে, এ বিনিয়োগ হবে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড়।

বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীকে এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈকিত সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের বড় অংশীদার। জাপানে বাংলাদেশের রফতানি বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে আরও বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করলে জাপানে বাংলাদেশের রফতানি বাড়বে। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।

এরপর পাঁচ বছর চলমান বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এ গুলোতে জাপান বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। এখানে বিনিয়োগে বাংলাদেশ আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদানের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। জাপানের তৈরি গাড়ির বড় বাজার বাংলাদেশ। জাপান বাংলাদেশে গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপন করলে তা লাভজনক হবে। এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত বাণিজ্যমন্ত্রীকে জানান, জাপান বাংলাদেশে অটোমোবাইল কারখানা স্থাপনের চিন্তা করছে। বাংলাদেশের আড়াইহাজার স্পেশাল ইকোনমিক জোনে জাপান বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে, এ বিনিয়োগ হবে এশিয়ার মধ্যে বৃহৎ।

ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০২৪ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও জাপান বাংলাদেশকে দেয়া বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার চিন্তা করছে। এজন্য এফটিএ অথবা পিটিএ করা যেতে পারে। জাপানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। উভয় দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা যেতে পারে। জাপানে দক্ষ শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা আছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে জাপানে ১৩৬৫.৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৯-২০০ অর্থবছরে ১২০০.৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে একইভাবে বাংলাদেশ ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে জাপান থেকে ১৮৫২.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে ১২৯৪.৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। এ সময় বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. ওবায়দুল আজম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনের অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলী বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।

Shahadat Hossen

Shahadat Hossen

Hello! I’m Md. Shahadat Hossen. I'm a Journalist, Web Designer, Entrepreneur, Founder at Tech Express & Pearl IT Limited. I started journalism from 2012. In the 2018, started Web Development Company Pearl IT. As a Journalist i Work Bangladeshi popular and oldest online news portal Bangladesherpatro.com. He was worked Dainik Desherpatro, The Dhaka Daily.

This Post Has 0 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *