নিউজ ডেস্ক: ব্যবহারকারীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ এবং তাদেরকে বিনোদন ও শিক্ষার মাধ্যমে বিকশিত করার লক্ষ্য…
প্লাস্টিক বর্জ্যের তথ্য জানতে নজর রাখুন এই অ্যাপে
নিজস্ব প্রতিবেদক, টেক এক্সপ্রেস:
বাংলাদেশে ব্যক্তি পর্যায়ে প্লাস্টিক বর্জ্যের তথ্যভাণ্ডার তৈরির লক্ষ্যে একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে তথ্য সাংবাদিকতার উদ্যোক্তা ‘ডেটাফুল’।
‘প্লাস্টিক ট্র্যাকার’ নামে ওই ওয়েব অ্যাপটি স্বতন্ত্রভাবে প্লাস্টিক বর্জ্যের তথ্য সংরক্ষণ করবে। যেখান থেকে ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময় প্লাস্টিক বর্জ্যের তথ্য জানতে পারবেন।
‘ডেটাফুল’ প্রকল্পের প্রধান পলাশ দত্ত বলেন, ‘মানুষকে তাদের প্লাস্টিক বর্জ্য সম্পর্কে জানতে সাহায্য করা এবং পরিবেশের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই এই অ্যাপের মূল লক্ষ্য।’
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিবেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্লাস্টিক বর্জ্য।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্ট কনসার্নের জরিপের বরাত দিয়ে এক বিবৃতিতে ডেটাফুল জানায়, গত বছর বাংলাদেশের শহরগুলোতে জমা বর্জ্যের পরিমাণ ছিল আট লাখ ২১ হাজার ২৫০ টন। যার মধ্যে মাত্র ৩৬ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য (রিসাইকেল) ছিল।
২০১৭ সালে বাংলাদেশিরা স্বতন্ত্রভাবে গড়ে ১৭ দশমিক ২৪ কেজি প্লাস্টিকের পণ্য ব্যবহার করেন।
বর্তমানে সর্বব্যাপী এই প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ে ২০১৬ সালের এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রে মাছের চেয়ে প্লাস্টিক বেশি থাকবে।
মাত্র ৫ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য কার্যকরভাবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা হয়, আর ৪০ শতাংশ বর্জ্য মাটিতে পুঁতে ফেলা হয় এবং এক-তৃতীয়াংশ সমুদ্রের মতো বাস্তুসংস্থাগুলোতে শেষ হয়।
জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বজুড়ে প্রতি মিনিটে ১০ লাখ প্লাস্টিকের পানীয় বোতল কেনা হয় এবং প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে পাঁচ ট্রিলিয়ন পর্যন্ত প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করা হয়।
প্রতিবছর ৮০ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য বিশ্বের মহাসাগরগুলোতে গিয়ে জমা হয়, যার ফলে পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হয়।
জাতিসংঘ জানায়, উৎপাদিত সব প্লাস্টিকের মধ্যে অর্ধেকই তৈরি করা হয় মাত্র একবার ব্যবহারের (ওয়ান টাইম) জন্য।
গত সোমবার উপকূলীয় এলাকাসহ সারা দেশে এক বছরের মধ্যে পলিথিন ব্যাগ এবং ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
This Post Has 0 Comments