skip to Main Content
01757-856855, 01521-464854, 01752-684000 contact@pearlit.net Open 7AM - 8PM

করোনা সংকটে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছে জনগণ

লিয়াকত হোসাইন:
প্রাণঘাতী করোনার কবলে পরে বিপর্যস্ত গোটা দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য। এই মহামারি সামাল দিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিকে চালু রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। যেসব দেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে (আইসিটি) এগিয়ে তারা করোনাকালে বাড়তি সুফল পাচ্ছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশর ঘোষণা দেন যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। গত ১১ বছরে গড়ে ওঠা তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামোর জন্যই করোনার এই কঠিন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সহজতর হয়েছে।

করোনার এই সংকটকালীন মুহূর্তে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি যখন সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হল আমাদের গতানুগতিক জীবনে অনেকটা পরিবর্তন এলো। কিন্তু আমরা বাস করছি চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের যুগে। এই বিপ্লবের মূল উপাদান হল কম্পিউটার আর তথ্যপ্রযুক্তি। তার ফলশ্রুতিতে ঘরে বসেই আমরা অনলাইনে যে ধরনের সেবা পাচ্ছি তা এককথায় বলতে গেলে ডিজিটাল বাংলাদেশরই সুফল।

দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে শিক্ষা, অফিস-আদালত, ব্যাংক, রাজনৈতিক সভা, কনফারেন্স, ইত্যাদি অনলাইনভিত্তিক করার পাশাপাশি আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনাকাটা আমরা ঘরে বসেই করতে পারছি।

এছাড়া করোনাকালীন দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য করোনাবিষয়ক তথ্যসেবা, টেলিমেডিসিন সেবা, সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য জরুরি খাদ্য সহায়তা যুক্ত হচ্ছে। প্রযুক্তির এই সহজলভ্যতার কারণে আমরা বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদির বিল ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারছি। শুধু শহরেই নয়, বরং জেলা-উপজেলা সদর ছাড়িয়ে গ্রাম, এমনকি প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলেও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিয়েছে বর্তমান সরকার। ৯৯৯ ও ৩৩৩ হেল্প লাইনের মাধ্যমে নাগরিকদের মধ্যে জরুরি সেবা দেওয়া হচ্ছে।

করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখার প্রধান উপায় হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। কোরবানিকে সামনে রেখে অনলাইনে শুরু হয়েছে কোরবানির পশু বেচাকেনা। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অনলাইন ও ই-কমার্স সাইটগুলোর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেজ খুলে শুরু হয়েছে কোরবানির পশু বিক্রি। যার মাধ্যমে জনসমাবেশ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকছে।

করোনাসংকট মোকাবেলায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ফুড ফর নেশন, কল ফর নেশন, করোনা ট্রেসিং অ্যাপ, হোয়াটসঅ্যাপ বটসহ নানাবিধ ডিজিটাল সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন, যা দেশের সর্বমহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছে।

তাছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃতে ডিজিটাল বাংলাদেশের যে চারটি পিলার চিহ্নিত করা হয়েছে- মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া, ই-গভর্ন্যান্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পখাত গড়ে তোলা, সেগুলো বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। এ ছাড়া এই দুর্যোগের সময়ে কর্মসংস্থান বাড়াতে ফ্রিল্যান্সিং ও ই-কমার্স খাতে জোর দিয়েছেন তিনি।

ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে সেই সুখী, সমৃদ্ধ, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বৈষম্য, দুর্নীতি, দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ, যা প্রকৃতপক্ষেই সম্পূর্ণভাবে জনগণের রাষ্ট্র এবং যার মুখ্য চালিকাশক্তি হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি। এটি বাংলাদেশের জনগণের উন্নত জীবনের প্রত্যাশা, স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা। ডিজিটাল বাংলাদেশ বস্তুত জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রথম সোপান। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি প্রত্যাশা ছিল বাংলার মানুষের জন্য সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত জীবন প্রতিষ্ঠা করা; ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করবে বলে আশা করছি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের মানুষ যখন করোনাভাইরাস মোকাবিলা নিয়ে উদ্বিগ্ন, তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। করোনা মোকাবেলায়, ওঁর দূরদর্শী ও সুযোগ্য নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। আমি ওঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

লেখক: লিয়াকত হোসাইন, প্রধান নির্বাহী, নিউজেন টেকনোলজি লিমিটেড, ব্যাবিলন রিসোর্সেস লিমিটেড, সেক্রেটারি জেনারেল, আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।

Shahadat Hossen

Shahadat Hossen

Hello! I’m Md. Shahadat Hossen. I'm a Journalist, Web Designer, Entrepreneur, Founder at Tech Express & Pearl IT Limited. I started journalism from 2012. In the 2018, started Web Development Company Pearl IT. As a Journalist i Work Bangladeshi popular and oldest online news portal Bangladesherpatro.com. He was worked Dainik Desherpatro, The Dhaka Daily.

This Post Has 0 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *