skip to Main Content
01757-856855, 01521-464854, 01752-684000 contact@pearlit.net Open 7AM - 8PM

গুজব ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

নিউজ ডেস্ক:
ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে গুজব সৃষ্টি, সেগুলো ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে বিদ্বেষ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ লক্ষ্যে র‌্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট তাদের সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করেছে। গুজব ছড়ানো আইডি শনাক্ত করে নেয়া হচ্ছে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা।

এছাড়া দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, গুজব সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজার কথাও ভাবছে সরকার। সম্প্রতি ফ্রান্সে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় বাংলাদেশসহ বিশ্বে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে।

এছাড়াও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অজুহাতে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি অপ্রীতিকর ও অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার অধিকাংশই ছিল গুজব নির্ভর। তাই আর কেউ যাতে এমন গুজবের শিকার না হয় সেজন্য কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ফেসবুকের বড় বড় গ্রুপ এবং পেজের পোস্টে নজরদারি শুরু করেছে। কোনো আক্রমণাত্মক ও রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় ফেসবুকের কাছে পোস্ট মুছে দেয়ার আবেদন করছেন তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা এর আগেও হয়েছে। তাই আর যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সে লক্ষ্যে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হতে পারে।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, র‌্যাবের একটি দক্ষ ও চৌকস সাইবার মনিটরিং টিম রয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক সব সামাজিক মাধ্যমে নজরদারি করছে। যদি কেউ গুজব সৃষ্টির চেষ্টা করে তাকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় নেয়া হবে। এছাড়াও সাধারণ মানুষ যে কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে র‌্যাবের ভেরিফাইড পেজে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. সোহেল রানা বলেন, গুজব রটানোকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। পাশাপাশি জনগণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে যাতে কোনো ধরনের গুজবে কান না দিয়ে তথ্যের সত্যতা যাচাই করে। কেউ যদি গুজবের মাধ্যমে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় তার বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত ২৯ অক্টোবর লালমনিরহাটে মসজিদে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার গুজব ছড়িয়ে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা ও লাশ আগুনে পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। যদিও পরবর্তীতে স্থানীয়রা বলেন নিহত ব্যক্তি ধার্মিক ছিলেন।

এর আগে বেশ কয়েক বার কক্সবাজারের রামু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত রোববার বিকেলে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে কুমিল্লার মুরাদনগরে সাতটি ঘরে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ অভিযোগে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের মার্চে গুজব বন্ধে কয়েকটি নির্দেশনাও দিয়েছিল হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, পুলিশের প্রত্যেক সার্কেল কর্মকর্তা (এএসপি) তার অধীনের প্রতিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে ছয় মাসে অন্তত একবার গুজবকে কেন্দ্র করে গণপিটুনি প্রবণতার বর্তমান অবস্থা নিয়ে মিটিং করবেন। গুজব এবং গণপিটুনির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

সামাজিক মাধ্যমে যে কোনো ধরনের অডিও, ভিডিও, খুদে বার্তা যা গুজব সৃষ্টি বা গণপিটুনিতে মানুষকে উত্তেজিত করতে পারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বন্ধের ব্যবস্থা নেবে। যারা এসব কাজে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। যখনই গণপিটুনির ঘটনা ঘটবে, কোনোরকম দেরি না করে তখনই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্ত এফআইআর নিতে বাধ্য এবং তা সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারকে অবহিত করবেন।

Shahadat Hossen

Shahadat Hossen

Hello! I’m Md. Shahadat Hossen. I'm a Journalist, Web Designer, Entrepreneur, Founder at Tech Express & Pearl IT Limited. I started journalism from 2012. In the 2018, started Web Development Company Pearl IT. As a Journalist i Work Bangladeshi popular and oldest online news portal Bangladesherpatro.com. He was worked Dainik Desherpatro, The Dhaka Daily.

This Post Has 0 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *