ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম ইউটিউবে আপত্তিকর কমেন্টকারীদের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নেবে প্রতিষ্ঠানটি। কুরুচিকর মন্তব্য করলেই সতর্কবার্তা…
দেশে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯৫ শতাংশ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশে মোবাইলফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা শতকরা ৯৫ভাগ। দেশে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার বিকাশে পরিচালিত বহুসংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাল্টি মিডিয়া শ্রেণিকক্ষ মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
মন্ত্রী মঙ্গলবার অনলাইনে এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জিএসএম থ্রাইভ সম্মেলনে ডিজিটাল বাংলাদেশ: বিয়ন্ড ভিশন ২০২১ শীর্ষক বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, পারস্পরিক সম্পর্কিত ৮টি উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বে একটি আত্মমর্যাদাশীল উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের যুগান্তকারী অঙ্গিকার হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বা ভিশন ২০২১।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিকে মূল উপকরণ হিসেবে প্রয়োগের মাধ্যমে বৈষম্য দূরীকরণ, দারিদ্র বিমোচন, সুশাসন ও মানসম্পন্ন শিক্ষার মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সকলক্ষেত্রে আইনের সমান প্রয়োগ এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলা মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি ভিশন ২০২১ এর অন্যতম লক্ষ্য। এরই ধারাবাহিকতায় দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিক জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ থেকে একযুগ আগে ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন ২০২১ ঘোষণা করে। বিশ্বে আজ এই কর্মসূচি সমাদৃত ও অনুকরণীয় হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী দক্ষ ও উদ্ভাবনী মানব সম্পদ তৈরি, মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ, বিশ্বব্যাপী একীভূত আঞ্চলিক অর্থনৈতিক বলয় প্রতিষ্ঠা, প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা প্রতিষ্ঠাসহ ৮টি লক্ষ্যের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চালু হওয়া এক্সেস টু ইনফরমেশন প্রোগাম এই লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। সরকার এবং বেসরকারি খাতের যৌথ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে মোবাইল শিল্প এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম অবস্থানে উপনীত হয়েছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত ৯ কোটি ব্যবহারকারীর মধ্যে ১৬ কোটি মোবাইল সংযোগ স্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৫ সালে মোবাইল ইকোসিস্টেম জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ অর্জন করে যার পরিমাণ প্রায় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার-এর সমপরিমান। ২০২০ সালের মধ্যে এই হার শতকরা ৮ভাগে উন্নীত হবে বলে আশা করছি।
মোস্তাফা জব্বার দেশে মোবাইলফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা শতকরা ৯৫ভাগ উল্লেখ করে বলেন ডিজিটাল গ্যাপ কমাতে ইন্টারনেট-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটরদের ভূমিকার প্রশংসা করেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী। দেশে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার বিকাশে পরিচালিত বহুসংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাল্টি মিডিয়া শ্রেণিকক্ষ মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
নারী পুরুষের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য কমাতে ইন্টারনেট মহিলা নাগরিকদের জন্য বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী উদ্যোক্তা প্রত্যন্ত এলাকা থেকেও ঘরে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচীর ফলে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মোবাইলসহ অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তি অর্থনীতির ব্লাড লাইনে পরিণত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
This Post Has 0 Comments