skip to Main Content
01757-856855, 01521-464854, 01752-684000 contact@pearlit.net Open 7AM - 8PM

ফের ভাইরাল আবরারের ছোট ভাইয়ের স্ট্যাটাস

নিউজবিডি ডেস্ক: নির্মম নির্যাতনে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র তার হলের রুম থেকে বুধবার নিয়ে গেছে তার পরিবার। আবরার শেরে বাংলা হলে উঠেছিলেন ২০১৮ সালের ৩১ মার্চে। এ উপলক্ষে তার ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ শেষবারের মতো বুয়েটের শেরে বাংলা হলে তার কক্ষে গিয়েছিলো। এর আগে ভাইয়ের স্মৃতিচারণা করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন আবরার ফাইয়াজ।

তার ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

“৩১শে মার্চ ২০১৮

প্রথম ক্লাস ছিল সেইদিন আবার সেইদিনই হলে উঠতে হবে।।। রুম বরাদ্দ ছিল ২০৭ কিন্তু রুমে রাজনৈতিক দলের লোক থাকায় প্রভোস্ট বলেন ভুল করেও ওই দিকে যাবা না,,,ভাইয়া ক্লাসে ছিল বলে আমাদের বলে ৫ তলায় জিনিসপত্র রাখতে,,, এখনো মনে আছে যেই মামা পায়ের ব্যাথায় হাটতে পর্যন্ত পারে না সে কিনা হাসি মুখে অত ভারি বাক্স নিয়ে উপরে উঠলো কিন্তু নিচে এসে দেখলাম ভাইয়ার থাকার জায়গা হয়েছে মসজিদে,,, আবার দুইজন মিলে নামিয়ে আনলাম,,দৌড়ে গিয়ে আগে তোষক বিছিয়ে রাখলাম ফ্যান এর নিচে, জানালার পাশে যাতে ভাইয়ার সুবিধা হয়।।সেইবার যখন চলে আসি তখন ভাইয়া কে দেখে মনে হয়েছিল অনেক খারাপ লাগছে বাট আমরাও খুশি মনে চলে আসি।।।।মনে আছে বন্ধুরা বলছিল সব ছবি তুলে নিয়ে আসিস কিন্তু লজ্জায় কিছুই তা হয় নি।।।কেউ যখন জিজ্ঞেস করত তোমার ভাই কি করে অনেক গর্ব করে বলতাম বুয়েটে ইইই পড়ে।।।।।(এখন অবশ্য লজ্জা আর ঘৃণা লাগে এই ব্যাপার গুলা নিয়ে) কালের পরিক্রমায় আজ ৩০শে অক্টোবর ২০১৯

আজকে আবার শেষ বারের মত যাবো ভাইয়ার রুমে,,, আগে অনেকবার গেলেও পার্থক্য এইবার ভাইয়া আর এই পৃথিবী তে নেই।।।মাত্র ১৯ মাস এর ব্যবধানে আবার আনতে যাচ্ছি যা একদিন রেখে আসছিলাম কিন্তু এখন সবই ভাইয়ের স্মৃতি হিসেবে।।।এই হলে একসময় ভাইয়ের সাথে কত ঘুরছি ভাইয়া বলত আমাদের হলের মতো হল বাংলাদেশ এ আর নেই।সারারাত না ঘুমালেও আমি যেতে চাইলে কখনো আসতে নিষেধ করত না,,,নিজে না থাকলেও বলত চাবি ওইখানে রেখে আসছি।।মাঝে মাঝে ভাইয়া ঘুমিয়ে থাকলে আমি পাশে চেয়ার বসে থাকতাম,,,হঠাৎ খেয়াল করলে বলত “কিরে তুই কখন আসলি,, “।।তখন তো আর জানতাম না মাথার উপরেই আছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট কিছু মানুষরুপী জীব,,যারা একদিন…..।।।আজ আর কেউ নেই যে ” ওই ভাবে” বলবে কিছু লাগলে আমাকে বলবি আব্বু আম্মু কে বলার দরকার নেই,,আর কেউ ঘাড়ে হাত দিয়ে রাস্তা পার হবে না,,,

কষ্ট শুধুই এইগুলা ভেবে যে না জানি কতটা কষ্ট পাইছে যখন আস্তে আস্তে বুঝতে পারছে আর আমাদের সাথে দেখা হবে না,,,হয়ত ওদের আঘাত থেকেও বেশি কষ্ট পেয়েছে বাবা-মা’র কথা ভেবে,,,কিন্তু যদি একবার বলতে পারতাম তুই শান্তিতে থাকলে আমাদের কাছে না থাকলেও আমরা খুশি,আমাদের চিন্তা তোকে করতে হবে না।।।হয়ত একসময় বলছে আল্লাহ তুমি ওদের দেখে রেখো তাই হয়ত এত কিছুর পরও এতটা স্বাভাবিক থাকতে পেরেছি।।।

আল্লাহর কাছেও খালি একটাই চাওয়া এখন,, ও যেন শান্তিতে থাকে,,,দুনিয়ায় কিছু না পেলেও আখিরাতে যেন সব পায়,,,সত্যি বলতে নিজের কাছের কেউ যখন যায় তখনই বুঝা যায় এই দুনিয়া কতটা ক্ষণিকের।।।

*একটা সময় আস্তে আস্তে হয়তো সব ভুলে যাব তাই এগুলা লিখে রাখা,,,ভাইয়ার সাথে বড় হওয়াটা তো আর হইলো না।। আল্লাহ ভরসা।”

Shahadat Hossen

Shahadat Hossen

Hello! I’m Md. Shahadat Hossen. I'm a Journalist, Web Designer, Entrepreneur, Founder at Tech Express & Pearl IT Limited. I started journalism from 2012. In the 2018, started Web Development Company Pearl IT. As a Journalist i Work Bangladeshi popular and oldest online news portal Bangladesherpatro.com. He was worked Dainik Desherpatro, The Dhaka Daily.

This Post Has 0 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *