skip to Main Content
01757-856855, 01521-464854, 01752-684000 contact@pearlit.net Open 7AM - 8PM

বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়াতে দেশে দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তির উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগ

 

নিউজ ডেস্ক:
সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়াতে চাচ্ছে। ওই লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকো-সিস্টেম উন্নয়ন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে ওই প্রকল্পে ৩৫৩ কোটি ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চলতি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের মাধ্যমে হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার ও প্রযুক্তি পণ্য তৈরির জন্য উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। বর্তমানে বিশ্বের ১৮০টি দেশে বাংলাদেশের সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার রফতানির বাজার তৈরি হয়েছে। ওসব পণ্য বিদেশে রফতানি করে গত ২ বছরে দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরে আমেরিকাসহ কয়েকটি দেশেই মোবাইল ও ল্যাপটপ রফতানি করছে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হলে রফতানির বাজার আরো বড় হবে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে আরো দক্ষ জনবল গড়ে উঠবে। তখন প্রযুক্তি খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ও আরো বাড়বে। সফটওয়্যার থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে। বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরীণ সফটওয়্যারের বাজারও বড় হচ্ছে। বর্তমানে দেশের বাজারই প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশই দেশী সফটওয়্যার নির্মাতারা দখলে রেখেছে। তবে বড় প্রতিষ্ঠানের কাজগুলোর ক্ষেত্রে এখনো বিদেশী সফটওয়্যারের ওপর নির্ভরতা রয়েছে। দেশের ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে ২৭টি ব্যাংকেই দেশী সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশের সফটওয়্যার খাতে বেশি চাহিদা রয়েছে ইআরপি, বিভিন্ন এ্যাপ্লিকেশন তৈরিসহ ডিজিটালাইজেশনের কাজে ব্যবহৃত সফটওয়্যার। দেশের বাজারে চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এখন সফটওয়্যার নির্মাতারা বিদেশেও রফতানি করছে। তবে দেশ থেকে বড় ধরনের একক সফটওয়্যার রফতানি হাতে গোনা। এখন পর্যন্ত অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিপিও, সার্ভিস রফতানি হচ্ছে। বিপিওর ক্ষেত্রে ব্যাংকের নানা কাজ, নানা রকম সেবা দেয়া হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে গ্রাফিকস, ওয়েবের কাজ হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে সফটওয়্যার এখনো রফতানির সব অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে আসে না। ফলে বাংলাদেশ কত ডলার আয় করেছে তার প্রকৃত তথ্য পাওয়া কঠিন।

সূত্র জানায়, গত কয়েক বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে বিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে। দিন দিন ‘ইমার্জিং চেন’ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তা আরো বড় পরিসরে করতে ইন্টারনেট স্পিড বাড়াতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, সুইডেন, হল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের ৭০ থেকে ৮০ দেশে এদেশের তরুণরা আউটসোর্সিং করছে। ১০ বছর আগেও যা ভাবা যেত না। ভারতে আউটসোর্সিংয়ের জন্য হায়দরাবাদের নামই হয়ে গেছে ‘সিলিকন ভ্যালি’। তখন থেকেই দেশটির যুবসমাজ বিলিয়িন বিলিয়ন ডলার আয় করছে। এখন এদেশেরও এমন সুযোগ তৈরি হয়েছে। পৃথিবীর অনেক বড় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের তরুণদের কাজ দেয়ার জন্য আগ্রহী। কারণ এখানে প্রতি ঘণ্টা কাজ ৩ থেকে ৪ ডলারে করে নিতে পারে। অন্য যে কোন দেশ থেকে এই দামে তারা কাজ করাতে পারে না। তাই তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প একদিন বড় একটা স্থান দখল করে নেবে।

সূত্র আরো জানায়, তথ্যপ্রযুক্তি খাত এদেশের জন্য নিঃসন্দেহে সম্ভাবনার একটি বিষয়। কারণ এ খাতের ভবিষ্যত অনেক বেশি আশা জাগায়। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে এটা একটা বড় ক্ষেত্র। এখান থেকে তারা আয় রোজগার করতে পারবে। তবে সেবার ক্ষেত্রে সম্ভাবনা যেমন বাড়ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নানা চ্যালেঞ্জও। বর্তমানে দেশে দেড় হাজার আইটি ও আইটিইএস কোম্পানি রয়েছে। তার মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের ৫শ’ কোম্পানি রফতানিতে রয়েছে। শুধু বেসিসে এক হাজারের বেশি সদস্য কোম্পানি রয়েছে। তবে অটোমেশন, প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি ও নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনের সঙ্গে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর টিকে থাকার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে।

এদিকে এ প্রসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় বাড়াতে একনেক ‘ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকো-সিস্টেম উন্নয়ন’ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনবল গড়ে তোলা হবে। ওই জনবল যখন কাজ শুরু করবে তখন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার আয় আরো বেড়ে যাবে। এ কারণেই তৈরি পোশাকের মতো বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বড় একটি খাত হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি খাত এগিয়ে যাচ্ছে। একদিন এই খাতই বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বড় উৎস হবে। ২০২১ সালে এই শিল্পের প্রথম ধাপটি পার হবে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের টার্গেট নেয়া হয়েছে। আর ২০৪১ সালের মধ্যে এই খাত থেকে তৈরি পোশাক শিল্পের চেয়ে অনেক বেশি আয় আসবে। এই খাতে দেশের তরুণ প্রজন্ম আশার আলো দেখতে শুরু করেছে। তারা এখনই আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। এই শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত তারা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার রফতানি করছে। দেশে তৈরি মোবাইল ল্যাপটপ বিদেশে রফতানি হচ্ছে।

Shahadat Hossen

Shahadat Hossen

Hello! I’m Md. Shahadat Hossen. I'm a Journalist, Web Designer, Entrepreneur, Founder at Tech Express & Pearl IT Limited. I started journalism from 2012. In the 2018, started Web Development Company Pearl IT. As a Journalist i Work Bangladeshi popular and oldest online news portal Bangladesherpatro.com. He was worked Dainik Desherpatro, The Dhaka Daily.

This Post Has 0 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *