ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম ইউটিউবে আপত্তিকর কমেন্টকারীদের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নেবে প্রতিষ্ঠানটি। কুরুচিকর মন্তব্য করলেই সতর্কবার্তা…
বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসছে অডিও মাধ্যমে
নিউজ ডেস্ক:
সম্প্রতি একটি অডিও সেবা সার্ভিস মূলধন ছাড়াই প্রায় ৪০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি আয় করেছে। এদিকে ফেসবুক সোস্যাল অডিও এক্সপেরিয়েন্স নামে একটি সেবা চালু করতে যাচ্ছে, যেখানে টুইটারের নতুন সেবা স্পেসেস ব্যবহারকারীদের তাত্ক্ষণিক চ্যাটরুম খোলার সুযোগ করে দিচ্ছে। তবে কি বিশ্বের অডিও যোগাযোগ ও ব্যবহার মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হতে যাচ্ছে?
ক্লাবহাউজ আসার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগের বড় প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো কিছু হারানোর ভয়ে নিমজ্জিত। তারা দেখতে পায় এ প্লাটফর্মে ব্যবহারকারীদের সহজেই তাদের পছন্দের যেকোনো বিষয় নিয়ে অডিও চ্যাটরুম তৈরি করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। যার জন্য বড় পরিসরে উদ্যমী ব্যবহারকারী প্রয়োজন।
এরপর কোনো প্রতিষ্ঠানের বাজারে নামার ক্ষেত্রে প্রধান বিষয় হলো তার পুঁজি। চলতি সপ্তাহে রিটজি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম অ্যান্ড্রেসেন হরোউইটজের প্রতিবেদন অনুযায়ী ক্লাবহাউজের বাজারমূল্য ৪০০ কোটি ডলার। কিন্তু বর্তমানে শুধু আইফোন ইউজাররাই এ অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে এত জনপ্রিয়তার পেছনের কারণ কী?
র্যাচেল ল্যানকেস্টার নামের একজন ব্যবহারকারী এ অ্যাপে তার আসক্তির কারণ জানান। তিনি বলেন, আমি এ অ্যাপের মাধ্যমে এমন কিছু প্রবেশাধিকার ও সুবিধা পেয়েছি, যা সাধারণত পাওয়া খুব কঠিন। আমি এ অ্যাপে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মহিলাদের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পেরেছি। ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপগুলোতে আপনার বাহ্যিক রূপ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখানে আমি অডিওর মাধ্যমে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত পেয়েছি।
পেশায় র্যাচেল একজন রেডিও ব্রডকাস্টার। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার একজন মহিলা আমার অনুষ্ঠানের অতিথির সঙ্গে কথা বলার জন্য ভোর ৪টায় ঘুম থেকে উঠেছিলেন। যেটা আমার কাছে খুবই মজার ও আকর্ষণীয় লেগেছে।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক পরামর্শক ম্যাট নাভারা একটি তত্ত্ব দিয়েছেন। করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ গৃহবন্দি। এ অবস্থায় বিনোদনের মাধ্যম খুঁজতে ব্যস্ত ছিল মানুষ। এ সময় ক্লাবহাউজ তাদের ভালো সহযোগিতা করেছে।
তিনি বলেন, আমরা এমন কিছু চেয়েছিলাম যেটা নতুন ও মজাদার। আর এ অডিও মাধ্যম আমাদের সেটিই এনে দিয়েছে। ব্যবহারকারীদের জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা।
ক্লাবহাউজের জনপ্রিয়তার ব্যাপারে ফেসবুক এবং টুইটারের আগ্রহ দেখে ম্যাট বলেন, আমরা ধারণা করছি অডিও মাধ্যমের এ পরিবর্তন এ দুটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারকারীদের ওপরও প্রভাব ফেলবে।
উদাহরণস্বরূপ তিনি ২০১৫ সালে বাজারে আসা ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ মিরক্যাটের কথা বলেন। এক ব্লগপোস্টের তথ্যানুযায়ী এ অ্যাপ প্রযুক্তি বিশ্বে সাময়িক সময়ের জন্য ঝড় সৃষ্টি করেছিল।
নাভারা বলেন, আমরা ভেবেছিলাম এটা অন্যরকম কিছু হবে। কিন্তু একটা সময়ে এসে আমরা বুঝতে পারলাম যে লাইভে সবাই সেরকম মজাদার কোনো কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন না।
তাই ক্লাবহাউজের জনপ্রিয়তার সঙ্গে লড়াই করতে হলে এর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কারণ কিছু নির্ধারিত বিষয়ের বক্তব্য দিয়ে খুবই সামান্য মানুষকে আকৃষ্ট করা যাবে। বার বার দেখতে দেখতে একটা সময় তারা বিরক্ত হবে এবং অ্যাপের ব্যবহার বন্ধ করে দেবে।
লাইভ অডিও ডিসকাশনে মানুষের সে রকম আগ্রহ না থাকলেও রেকর্ডেড কনটেন্টগুলো আরো বেশি আকর্ষণীয় হতে পারে। পডকাস্টের জনপ্রিয়তা আমাদের সেটাই বলে। -বিবিসি।
This Post Has 0 Comments