ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম ইউটিউবে আপত্তিকর কমেন্টকারীদের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নেবে প্রতিষ্ঠানটি। কুরুচিকর মন্তব্য করলেই সতর্কবার্তা…
যেভাবে ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ চুরি হয়
টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
চুরি হয়ে যাচ্ছে আপনার ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ। অথচ বুঝতেই পারছেন না কিভাবে শেষ হল। দিনের পর দিন নিজের টাকা খরচের খাতায় যাচ্ছে। কিন্তু বিষয়টা আসলে কী? এতদিন পর্যন্ত জালিয়াতরা বিভিন্ন তথ্য চুরির জন্য অন্যের ডিভাইসে হানা দিত। এখনও করে। কারও ডিভাইস থেকে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, কারও কাছ থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়াসহ আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাল বিছিয়ে রেখেছে জালিয়াতরা।
কিন্তু এবার বিভিন্ন ডিভাইসে হানা দিচ্ছে শুধুমাত্র ব্যান্ডউইথ চুরি করতে। সেই ব্যান্ডউইথ চুরি করে তা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা রোজগার করছে জালিয়াতরা। কীভাবে এই কাজটা সম্পন্ন হচ্ছে? পুরো কাজটির জন্য একটি প্রক্সিওয়্যার ব্যবহার করছে জালিয়াত চক্রের পাণ্ডারা। সিসকো ট্যালোস ইতোমধ্যে ওই বিশেষ প্রক্সিওয়্যারের সন্ধান পেয়েছে।
ওই ওয়্যারের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিভাইসকে টার্গেট করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে সব ডিভাইসকে টার্গেট করতে পারে না প্রক্সিওয়্যার। মূলত যে সব সিস্টেমে বা ডিভাইসে আগে থেকেই ম্যালওয়্যার ঢুকে রয়েছে, বেছে বেছে সেই সিস্টেমগুলিতেই হামলা চালায় জালিয়াতরা। ‘জেডডিনেট’ নামে একটি সংস্থা জানিয়েছে, প্রক্সিওয়্যার কোনো অবৈধ কিছু নয়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে প্রক্সিওয়্যার ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু জালিয়াতরা ওই প্রক্সিওয়্যার ব্যবহার করে খারাপ উদ্দেশ্যে। এই প্রক্সিওয়্যার টুলটিকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে হ্যাকাররা। ব্যবহারকারীর অজান্তেই তাদের কোনও ডিভাইসে প্রক্সিওয়্যার সফ্টওয়্যারটিকে ইনস্টল করে দেওয়া হচ্ছে। এর পরেই সেই ডিভাইসের ব্যান্ডউইথ চুরি হয়ে যাচ্ছে এবং তা চলে যাচ্ছে হ্যাকারদের দখলে। এমনকী দীর্ঘদিন কেটে গেলেও ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারে না তাদের ডিভাইসে এই ধরনের কোনও অ্যাপ রয়েছে।
কীভাবে প্রক্সিওয়্যার ইনস্টল করে দেওয়া হচ্ছে?
মূলত কোনও পাইরেটেড অ্যাপের মাধ্যমে বা কোনও সফটওয়্যারের মাধ্যমে ওই প্রক্সিওয়্যার ইনস্টল করে দেওয়া হচ্ছে। কীভাবে বোঝা সম্ভব কোনও ডিভাইসে প্রক্সিওয়্যার রয়েছে কি না?
১) প্রতিনিয়ত ফোন বা ল্যাপটপে থাকা অ্যাপ বা সফ্টওয়্যারের উপর নজর রাখতে হবে। যদি দেখা যায় কোনও অ্যাপ নিজে থেকে ডাউনলোড করা হয়নি অথচ মোবাইলে দেখতে পাচ্ছেন, তাহলে তা দ্রুত ডিলিট করে দিতে হবে।
২) কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে তার সোর্স যাচাই করতে হবে। গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করাই ভালো।
৩) ফোনে বিল্ট ইন সিকিউরিটি স্ক্যানার থাকলে তা অ্যাকটিভ রাখতে হবে।
৪) অপরিচিত কেউ কোনও লিঙ্ক পাঠালে তাতে ক্লিক করা উচিত নয়।
৫) পাইরেটেড অ্যাপ বা সফ্টওয়্যার কোনও ডিভাইসে ইনস্টল করা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।
This Post Has 0 Comments